পদ্মফুলে সাজানো গেরুয়া উত্তরীয় পরে সবে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের পুত্র নীরজ শেখর। রাজ্যসভায় সংখ্যা বাড়াতে বিজেপির ‘শিকার’ অভিযান চলছেই! দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অখিলেশ যাদবের দলের পর এ বারে তাদের নজর মায়াবতীর দলের সাংসদদের উপর। রাজ্যসভায় বিএসপির চার জনের মধ্যে দু’জনকে ভাঙিয়ে আনতে চাইছে বিজেপি।
পীযূষ গয়ালদের তৎপরতায় নীরজ গত কালই এসপি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। রাজ্যসভা থেকেও পদত্যাগ করেন। উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু সেই ইস্তফা গ্রহণও করেছেন। আজ রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই বেঙ্কাইয়া জানিয়ে দেন সে কথা। নীরজ গত কাল অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
আজ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। তার পরেই বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগদান।
নীরজ বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরেই মনে হচ্ছিল, এসপি-তে কাজ করা মুশকিল। রাষ্ট্রহিতে কাজ করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই কাজ করতে হবে। দেশ নিরাপদ তাঁর হাতেই। প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি আমাকে পরিবারের সদস্যের মতো গ্রহণ করেছেন।’’ বালিয়া লোকসভা আসন থেকে অখিলেশ প্রার্থী না-করার পর থেকেই দুই নেতার মধ্যে দূরত্ব বাড়ছিল।
বিজেপি দফতরে আজ গেরুয়া উত্তরীয় দিয়ে নীরজকে স্বাগত জানান বিজেপির নেতারা। এর পর বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডার সঙ্গেও দেখা
করেন। বিজেপি সাংসদদের সঙ্গেই ফের সংসদে যান। রাজ্যসভা থেকে ইস্তফার পরে তাঁকে নতুন করে উত্তরপ্রদেশ থেকে জিতিয়ে আনবে বিজেপি।
নীরজ-পর্ব মিটতে না মিটতেই মায়াবতীর দলেও ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। দলের এক সূত্র জানাচ্ছে, মায়াবতীর দলের দুই সাংসদ বীর সিংহ ও রাজা রামের উপরেই নজর রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর দলের। যদিও রাতে বিএসপি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তাদের এক জন সাংসদও বিজেপিতে যাবেন না।
রাজ্যসভাতে বিএসপির অন্য দুই সদস্য হলেন সতীশচন্দ্র মিশ্র ও অশোক সিদ্ধার্থ। সতীশচন্দ্রের সঙ্গে বিজেপির ‘সখ্য’ নিয়ে এমনিতেই রাজধানীতে বিস্তর চর্চা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চার
জনের মধ্যে দু’জনই বিজেপিতে এলে ইস্তফা না দিয়েই অনায়াসে নতুন দলে সামিল হয়ে যেতে
পারেন তাঁরা।
ক’দিন আগে ঠিক এটাই হয়েছিল তেলুগু দেশমের সাংসদদের ক্ষেত্রে। ২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২৩ জনের সমর্থন। এই মুহূর্তে বিজেপির সংখ্যা মাত্র ৭৮। নীরজ এলে হবে ৭৯। সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে যেটি অনেকটা দূর। কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশের জন্য এনডিএর বাইরেও ‘বন্ধু’ দলের সমর্থন প্রয়োজন। সে কারণে উচ্চকক্ষে সংখ্যা বাড়াতে মরিয়া বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy