ভারতীয় সংবিধান হাতে সিএএ-র প্রতিবাদে ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ (খবর পৃঃ ৮)। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে। পিটিআই
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে, সিএএ-এনপিআর নিয়ে বিজেপি মেরুকরণের রাজনীতি করছে বলে দলিত নেতা চন্দ্রশেখর আজাদের ধারণা।
জামিন পেলেও দিল্লিতে থাকার জন্য হাতে মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময় পেয়েছিলেন। তার মধ্যেই আজ ফের জামা মসজিদের সামনে হাজির হলেন চন্দ্রশেখর আজাদ ‘রাবণ’। সিএএ-এনআরসি-এনপিআরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করলেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘আসলে রামমন্দির নিয়ে নতুন কিছু করার নেই। আর কোনও বিভাজনের অস্ত্রও নেই।’’ দেশ জুড়ে সিএএ-এনপিআর-এনআরসি-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চললেও আজাদের ধারণা, মোদী সরকার পিছু হঠবে না। তাঁর মন্তব্য, ‘‘হতে পারে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট হয়ে যাওয়ার পরে একটু পিছু হঠল।’’
গত রাতে তিহাড় থেকে জামিনে ছাড়া পান আজাদ। ডিসেম্বরের শেষে জামা মসজিদের সামনে থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ঠিক ওই সময়েই রাজনৈতিক দল ঘোষণার কথা ছিল আজাদের। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থী দিতে পারেন, এমন গুঞ্জনও চলছিল। কিন্তু আদালতের জামিনের শর্তে এখন দিল্লির ভোটের সময় রাজধানীতে থাকতে পারবেন না আজাদ। বিকেলে দিল্লি ছেড়ে উত্তরপ্রদেশ রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিক বৈঠকে রাহত ইন্দোরির ‘আগর খিলাফ হ্যায় হোনে দো’ কবিতা পাঠ করেছেন তিনি। শেষ করেছেন ‘কিসি কে বাপ কা হিন্দুস্তান থোড়ি হ্যায়’ বলে। তারপরে বলেন, ‘‘রাজনীতি পরেও হতে পারে। এখন আমার অগ্রাধিকার, মানুষকে নয়া নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে সচেতন করা, লোকজনকে এর বিরুদ্ধে জড়ো করা। আন্দোলন জোরদার করাই এখন প্রধান উদ্দেশ্য।’’ আজাদের ফের জামা মসজিদে যাওয়ার দিনেই শাহি ইমাম আহমেদ বুখারি আজ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে সিএএ-র বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে নিরীহ মুসলিম যুবকরা প্রাণ দিচ্ছেন। কত দিন এ ভাবে প্রাণ দিতে হবে?’’ বুখারি এর আগে সিএএ নিয়ে বলেছিলেন, এই আইনের সঙ্গে এ দেশের মুসলিমদের সম্পর্ক নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy