সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ। রায় আসতে বেশ দেরি। কিন্তু রায় তাদের পক্ষেই আসবে ধরে নিয়েই আস্ফালন শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের শীর্ষনেতারা অবশ্য প্রকাশ্যে কোনও উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেন না। কিন্তু বড় নেতারা না-বললেও সাক্ষী মহারাজের মতো বিজেপি নেতা আজ বলেই ফেললেন, ‘‘প্রভু রামের পক্ষেই রায় আসবে। ৬ ডিসেম্বর বা তার আগেই রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এ বছর দু’বার দীপাবলি হবে।’’ বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বরই। ওই দিনটি ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে অযোধ্যায়।
দিল্লিতে আজ রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সংসদ বিষয়ক কমিটির বৈঠক হয়। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের দিন ঠিক করতে। গত কয়েক বছর শীতকালীন অধিবেশন নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে শুরু হয়ে চলেছে পরের বছর জানুয়ারির গোড়া পর্যন্ত। কিন্তু সরকারি সূত্রের মতে, এ বারে অধিবেশন ছোট রাখার কথাই ভাবা হচ্ছে। এ বার অধিবেশনের মুখেই অযোধ্যার রায় বেরোবে। ফলে ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু করে বড়দিনের আগেই তা শেষ হতে পারে। এমনকি পাট চোকানো হতে পারে চার সপ্তাহে, ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যেও।
বিজেপির মতে, রায় হিন্দুদের পক্ষে এলে উত্তরপ্রদেশে রাজনৈতিক লাভ হবে। অযোধ্যায় তাই এ বার মহা ধুমধামে দীপাবলি হবে। বস্তুত উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে আজ থেকেই। পরিস্থিতি দেখভাল করতে মুখ্যসচিব, পুলিশের বড় কর্তাদের সেখানে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যদিও সঙ্ঘের পক্ষে মনমোহন বৈদ্য বলেন, রামমন্দির রাজনৈতিক নয়, হিন্দু সমাজের আস্থার বিষয়। আদালত যে ভাবে এগোচ্ছে, দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আশা, ‘‘যে রায়ই আসুক, সব পক্ষ তা মেনে নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy