Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

ঝাড়খণ্ডে পাঁচ দফার ভোটে সতর্ক বিজেপি

বিজেপি নেতারাই কবুল করছেন, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানাতেও জয় নিশ্চিত বলে ধরে নিয়েছিল দল। কিন্তু হয়েছে উল্টো ফল।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৯ ০২:০৫
Share: Save:

পাঁচ দফায় ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার ফলের পর আর সে রাজ্যে আগের মতো নিশ্চিন্তে নেই বিজেপি।

কমিশন আজ জানাল, ভোট হবে নভেম্বরের ৩০ এবং ডিসেম্বরের ৭, ১২, ১৬ ও ২০ তারিখে। ফল প্রকাশ হবে ২৩ ডিসেম্বর। ৮১ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪১। কিন্তু বিজেপিরই অভ্যন্তরীণ একটি সমীক্ষা এখনও ৩০টির বেশি আসনকে নিশ্চিত বলতে পারছে না। পাঁচ বছর আগে বিজেপি একার জোরে ৩৭টি আসন পেয়েছিল। কিন্তু ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’- (আজসু)-এর ৫ বিধায়কের সঙ্গে জোট বেঁধে কোনও রকমে সরকার গড়া হয়। আরও পরে বাবুলাল মারান্ডির দল বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সরকার একটু স্থিতিশীল হয়।

কিন্তু বিজেপি নেতারাই কবুল করছেন, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানাতেও জয় নিশ্চিত বলে ধরে নিয়েছিল দল। কিন্তু হয়েছে উল্টো ফল। জোড়াতালি দিয়ে হরিয়ানায় সরকার গড়তে হয়েছে। মহারাষ্ট্রে জট কাটছে না। হরিয়ানায় দুষ্মন্ত চৌটালাকে উপমুখ্যমন্ত্রী করে জাঠ রাজনীতিতেই ফিরতে হয়েছে বিজেপিকে। তেমনই আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডে রঘুবর দাসের মতো অনাদিবাসীকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে। আদিবাসীদের স্বার্থ বিঘ্নিত করে, এমন কিছু পদক্ষেপেও ক্ষোভ বেড়েছে সরকারের উপর। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ অবশ্য জানেন এই ক্ষোভের কথা। সে কারণে আগেভাগেই রাজ্য নেতৃত্বকে সতর্ক করেছেন। রঘুবর দাসের ‘জন আশীর্বাদ যাত্রা’-য় আদিবাসী মুখ অর্জুন মুন্ডাকেও সঙ্গে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। দুই রাজ্যের ফলের পর বিজেপির রণকৌশল আরও আঁটোসাটো করার দাওয়াই দিয়েছেন। ঝাড়খণ্ডের ভোটের দায়িত্ব

দলের প্রবীণ নেতা ওম মাথুরকে দিয়েছেন অমিত শাহ। মহারাষ্ট্র-হরিয়ানার পরে ঝাড়খণ্ডে নতুন চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সব রাজ্যকে এক করে দেখলে চলে না। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা থেকে ঝাড়খণ্ডের পরিস্থিতি আলাদা। আমরা ৬৫টির বেশি আসনে জিতব। তার জন্য দিনরাত মেহনত করব।’’

কংগ্রেসের যদিও দাবি, ২৫টি আসনও পাবে না বিজেপি। পাঁচ দফায় ঝাড়খণ্ডের ভোট করা নিয়ে বিজেপিকেই বিঁধছে কংগ্রেস। দলের নেতা আর পি এন সিংহ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তো দাবি করেন, রাজ্যে মাওবাদী সমস্যা মিটে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও পাঁচ দফায় ভোট হচ্ছে কেন? আমরা তো এক দফায় ভোটের দাবি করেছিলাম।’’ কমিশনের জবাব, পাঁচ বছর আগেও পাঁচ দফায় ভোট হয়েছে। এ বারেও তার অন্যথা হয়নি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy