প্রতীকী ছবি।
নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় লাগল রাজনীতির রং। পরিবার বিজেপি করার ‘অপরাধে’ আট বছরের মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত যুবক স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত। যদিও সে কথা মানেনি ঘাসফুল শিবির। তাদের দাবি, যুবক বিজেপি করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অবশ্য অনুমান, এই ঘটনার পিছনে রাজনীতি নেই।
সোমবার বাসন্তীর জ্যোতিষপুর পঞ্চায়েতের রাধারানিপুর গ্রামের ওই ঘটনায় ধৃতের নাম হরিপদ দাস। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাড়ার একটি দোকানে খাবার কিনতে গিয়েছিল মেয়েটি। হরিপদ তাকে খাবার দেওয়ার নাম করে নিজের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা কাউকে জানালে প্রাণে মারার হুমকি দেয়।
মঙ্গলবার দুপুরে মেয়েটি যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। এরপরেই বিষয়টি জানাজানি হয়। অসুস্থ মেয়েটিকে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। তার মায়ের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরেই হরিপদ ও তার সঙ্গীরা তাঁদের নানা ভাবে নির্যাতন করছে। তাঁর স্বামীকেও খুন করা হয়েছে তিন বছর আগে। বিজেপি করাই তাঁদের ‘অপরাধ।’ মেয়েকে ধর্ষণও করা হয়েছে ওই কারণে, অভিযোগ মায়ের। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে ওরা খুন করেছিল। আমরা বিজেপি করি। সে কারণে আমার উপরেও একাধিকবার অত্যাচারের চেষ্টা করেছে ওরা। আর এ বার আমার মেয়েকেও ছাড়ল না।”
ঘটনায় নিন্দা করেছেন বাসন্তীর বিজেপি প্রার্থী রমেশ মাঝি। তিনি বলেন, “বিজেপি করার অপরাধেই ওই পরিবারের উপরে বার বার অত্যাচার হচ্ছে। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি, এটাই তৃণমূলের আসল রূপ।” জ্যোতিষপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি স্বপন পট্টনায়েকের দাবি, অভিযুক্ত যুবক তাঁদের দলের কেউ নয়। সে বিজেপি করে। স্বপনের কথায়, ‘‘ধর্ষণের ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সে আমাদের দলের কর্মী নয়। সে বিজেপির লোক। দীর্ঘ দিন ধরেই তাকে আমরা বিজেপির মিটিং-মিছিলে দেখে আসছি। আজ তৃণমূলকে বদনাম করার জন্যই এ কথা বলা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy