ডাকোটা বিমান। ছবি: টুইটার
কলকাতা-ভুবনেশ্বর জাতীয় সড়কে বুধবার সকাল থেকেই সাজো সাজো রব। দমদমের কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩টি ট্রাকে চেপে আসছে মহার্ঘ জিনিস। সেগুলোকে দেখতেই ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ সীমানায় জাতীয় সড়কের দু’ধারে মানুষের ঢল নামল।
প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বুধবার বিকেলের দিকে দুই রাজ্যের সীমানায় অবস্থিত লক্ষ্মণনাথ টোল প্লাজ়ায় পৌঁছয় ৩টি ট্রাক। জলেশ্বরে পৌঁছনোর পর রাতের মধ্যেই সেটি ভুবনেশ্বরে পৌঁছবে। ৩টি ট্রাকে আছে একটি পুরনো বিমানের ভাঙা অংশ। ডাকোটা বিমান খুব পছন্দের ছিল ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়কের। সেই ডাকোটা বিমানের একটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল কলকাতা বিমানবন্দরে। ওড়িশার বিজু পট্টনায়ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাবার ব্যবহৃত বিমানটি রাখার জন্য এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কাছে আর্জি জানিয়েছিল ওড়িশা সরকার। সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। বিমানের ভাঙা অংশগুলি জুড়ে সেটিকে রাখা হবে ওড়িশার বিমানবন্দরটিতে। তার জন্য জায়গাও মঞ্জুর করেছেন কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ওড়িশার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি নেতা নবীন পট্টনায়ক বিজু পট্টনায়কের পুত্র। জানা গিয়েছে, বিমানটির ওজন প্রায় ৮ টন। এক সময় ভারতের আকাশপথে কার্যত বিপ্লব এনেছিল ডাকোটা বিমান। বিজু পট্টনায়কের এই বিমানের প্রতি ভালবাসার কথাও সুবিদিত। সে সময় ডাকোটা বিমান চালাত ওড়িশার কলিঙ্গ এয়ারলাইন্সও, যাদের সদর দফতর ছিল কলকাতায়। ১৯৪৭ সালের এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সুতান সাহজিরকে উদ্ধার করতে এই ডাকোটা বিমানকেই ব্যবহার করেছিলেন তদানীন্তন কংগ্রেস নেতা বিজু। তার জন্য তাঁকে ইন্দোনেশিয়া সরকার বিজুকে সে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ভূমিপুত্র’ অভিধায় ভূষিত করেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy