মহারাজা হরি সিংহের পুত্র কংগ্রেস নেতা কর্ণ সিংহ।—ফাইল চিত্র।
রাহুল গাঁধীর উত্তরসূরি বাছতে শনিবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। কিন্তু নতুন নেতা বাছাই নিয়ে যেমন কংগ্রেসের ভিতরে ঝড় চলছে, তেমনই কাশ্মীর নিয়ে দলের বিবাদও মিটছে না।
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর দল দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। আর আজ সংসদের দুই কক্ষের দুই নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী ও গুলাম নবি আজাদ জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ফের বিতর্ক বাধিয়েছেন। অধীর তো কাশ্মীর পরিস্থিতিকে ‘কনসেনট্রেশন ক্যাম্প’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। অজিত ডোভালের ভিডিয়ো দেখে ‘কাশ্মীরি জনতাকে টাকা দিয়ে কেনা যায়’ বলেও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন আজাদ। এর মধ্যেই দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন মহারাজা হরি সিংহের পুত্র কংগ্রেস নেতা কর্ণ সিংহ। দু’দিন আগে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি নরেন্দ্র মোদী সরকারের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে যে অবস্থান নিয়েছিল, আজ তার উল্টো পথে হেঁটেছেন তিনি। তাঁর ছেলে বিক্রমাদিত্যও কেন্দ্রের পদক্ষেপকে ‘নতুন যুগের শুরু’ হিসেবে তুলে ধরেছেন।
কর্ণ বলেন, ‘‘আচমকা সিদ্ধান্ত নিলেও জম্মু-কাশ্মীর-সহ গোটা দেশের সমর্থন পেয়েছে সরকার। ব্যক্তিগত ভাবে অন্ধ বিরোধিতার পক্ষে নই। কারণ, এর মধ্যে অনেক ইতিবাচক উপাদান রয়েছে। লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত। ‘সদর-ই-রিয়াসত’ থাকার সময় এই প্রস্তাব করেছিলাম। ৩৫এ হটানোও স্বাগত। আসন পুনর্বিন্যাস করে জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রও সুনিশ্চিত করা উচিত।’’
কর্ণের বক্তব্য যেমন কংগ্রেসকে চাপে ফেলেছে, তেমনি উল্লসিত বিজেপি। কর্ণের বিবৃতি দিনভর বিজেপি প্রচার করেছে। যদিও কর্ণের মতে, কাশ্মীরের দুই প্রধান আঞ্চলিক দলকে উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি। ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতিদের অবিলম্বে ছেড়ে দিয়ে শান্তি ফেরাতে আলোচনায় বসা উচিত। জম্মু-কাশ্মীর যাতে ফের রাজ্যের মর্যাদা পায়, সেই চেষ্টা করা দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy