Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Hathras Stampede Incident

ধর্মপ্রচারের জন্য ছাড়েন গোয়েন্দার চাকরি! হাথরসে সেই ভোলে বাবার সৎসঙ্গে মৃত শতাধিক

উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে প্রতি মঙ্গলবার ভোলে বাবার নামে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে জড়ো হন হাজার হাজার ভক্ত। সেখানে ভক্তদের খাবার এবং পানীয় জলের ব্যবস্থাও করা হয়।

ভোলে বাবার (বাঁ দিকে) সৎসঙ্গেই বিপত্তি।

ভোলে বাবার (বাঁ দিকে) সৎসঙ্গেই বিপত্তি। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ২১:৩৫
Share: Save:

উত্তরপ্রদেশের হাথরসে চলছিল ‘সৎসঙ্গ’। তার শেষেই হুড়োহুড়ি পড়ে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মারা গিয়েছেন শতাধিক পুণ্যার্থী। সেই সৎসঙ্গের ডাক দিয়েছিলেন নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলে বাবা। কে এই ভোলে বাবা? স্বঘোষিত এই ধর্মগুরু উত্তরপ্রদেশেরই বাসিন্দা। তাঁর দাবি, অতীতে গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেছেন তিনি।

উত্তরপ্রদেশের এটাহ্‌ জেলার পাতিয়ালি পঞ্চায়েতের বাহাদুর গ্রামের বাসিন্দা ভোলে বাবা। তিনি দাবি করেন, একটা সময়ে গোয়েন্দা বিভাগে চাকরি করতেন। ধর্মীয় বাণী প্রচারের জন্য ২৬ বছর আগে ছেড়ে দিয়েছিলেন সেই চাকরি। এখন হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, দিল্লি-সহ গোটা ভারতে অসংখ্য ভক্ত ছড়িয়ে রয়েছে স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুর। সমাজমাধ্যমে ভোলে বাবার কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। তাঁর ভক্তদের দাবি, সমাজে বিভিন্ন স্তরে তাঁর অনুপ্রেরণা কাজ করে।

উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে প্রতি মঙ্গলবার ভোলে বাবার নামে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে জড়ো হন হাজার হাজার ভক্ত। সেখানে ভক্তদের খাবার এবং পানীয় জলের ব্যবস্থাও করা হয়। দায়িত্বে থাকেন স্বেচ্ছাসেবীরা। অতিমারির সময় জমায়েতে যখন নিষেধাজ্ঞা ছিল, তখনও ভোলে বাবার অনুষ্ঠানে জড়ো হতেন শয়ে শয়ে মানুষ। সেই নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছিল।

মঙ্গলবার হাথরসে সিকান্দরারাউ এলাকায় ভোলে বাবার সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১১৬ জনের। এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রে খবর, নারায়ণ সাকার ওরফে ‘ভোলে বাবা’ নামে স্বঘোষিত এক ধর্মীয় গুরুর জন্য ‘মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাবনা অনুষ্ঠান কমিটি’র তরফে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত ওই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল মঙ্গলবার। অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। ভক্তদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। হুড়োহুড়ি করে বেরোনোর সময় ঘটে বিপত্তি। এই ঘটনায় সৎসঙ্গের আয়োজক কমিটির দিকে আঙুল উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, সৎসঙ্গের জন্য যে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল, তা ব্যারিকেড ছিল। পাখার ব্যবস্থা করা হয়নি। প্যান্ডেল খোলামেলা থাকলেও আর্দ্রতা এবং গরমের কারণে সকলেই হাঁসফাঁস করছিলেন। ফলে সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পরেই মানুষ হুড়মুড়িয়ে মাঠের বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আসা-যাওয়ার জন্য যে গেট তৈরি হয়েছিল, সেটিও অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ হওয়ার কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। অনেকে মাটিতে পড়ে যান। বাকিরা তাঁদের উপর দিয়েই বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। তাতেই মারা গিয়েছেন শতাধিক ভক্ত।

অন্য বিষয়গুলি:

Death Hathras
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE