Advertisement
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
Bengaluru

ঘুমের মধ্যে মৃত মা, লাশ বিছানায় রেখে দিব্যি স্কুলে গেল ছেলে! দু’দিন ধরে ঘরে পচল দেহ

মায়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিল ছেলে। তিনি উত্তর দিচ্ছেন না দেখে, সে ভেবে নেয় মা রাগ করেছেন। নিজের কাজ নিজে করে নিয়ে মায়ের পাশেই ঘুমিয়ে পড়ে সে। দু’দিন ধরে এই রুটিন চলতে থাকে।

Bengaluru boy did not realize mother’s death and spend two days with the body.

মায়ের মৃতদেহ পাশে নিয়েই দু’দিন কাটিয়ে দিল ছেলে। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৩ ০৯:৩৫
Share: Save:

মায়ের মৃত্যু হয়েছে, বুঝতেই পারল না ছেলে। দু’দিন ধরে ছেলের পাশের বিছানাতেই পড়ে রইল মায়ের দেহ। এ দিকে, স্কুলে গিয়ে, বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধূলা করে দিব্যি দিন কাটিয়ে দিল ১১ বছরের কিশোর।

ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর। মৃত মহিলার নাম আন্নাম্মা (৪৫)। তিনি পেশায় পরিচারিকা। পুলিশ জানিয়েছে, রক্তচাপ এবং সুগারের সমস্যা ছিল তাঁর। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঘুমের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি ছেলেকে নিয়ে একাই থাকতেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যু হয়েছে, বুঝতেই পারেনি ছেলে। ফলে মা ঘুমোচ্ছে ভেবে, দেহ বিছানায় রেখেই সে দু’দিন স্কুলে গিয়েছে।

স্কুল থেকে বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে খাওয়াদাওয়া করে রাতে বাড়ি ফেরে ছেলে। মায়ের সঙ্গে কথা বললে তিনি উত্তর দিচ্ছেন না দেখে সে ভেবে নেয়, মা রাগ করেছেন। নিজের কাজ নিজে করে নিয়ে মায়ের পাশেই ঘুমিয়ে পড়ে সে।

দু’দিন পর ছেলেটি প্রতিবেশীদের কাছে গিয়ে জানায়, তার মা তার উপর এতই রাগ করেছেন যে, দু’দিন ধরে তার সঙ্গে কোনও কথা বলছেন না। এর পর প্রতিবেশীরা বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান, বিছানায় পড়ে আছে মহিলার মৃতদেহ। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

পুলিশ জানিয়েছে, এক বছর আগে মহিলার স্বামী কিডনির অসুখে ভুগে মারা গিয়েছিলেন। মহিলার মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্যই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও কোনও অপরাধ বা অস্বাভাবিকতার ইঙ্গিত মেলেনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Bengaluru Death Mother-Son
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy