প্রকাশ জাভড়েকর। ছবি: পিটিআই।
দেশ জুড়ে বেকারত্বের সমস্যা মেটাতে মোদী সরকারের নতুন দাওয়াই, স্নাতক স্তরে জীবিকা শিক্ষা। স্নাতক হয়েই তরুণ-তরুণীরা যাতে হাতেগরম কাজ পেতে পারেন, তার জন্য জীবিকামুখী পাঠ্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। বিএ, বিকম বা বিএসসি— তিনটি শাখাতেই এই নতুন পাঠ্যসূচি যোগ করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। তাঁর আশ্বাস, ওই পাঠ্যসূচি ছেলেমেয়েদের চাকরি পেতে সাহায্য করবে। সরকারের চার বছরের মাথায় এই পরিকল্পনার কথা শুনে বিরোধীদের কটাক্ষ, বোঝাই যাচ্ছে, লোকসভা ভোট চলে এসেছে। তাই এত দিনে টনক নড়ল সরকারের। নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে বছরে দু’কোটি নতুন কাজ দেবেন। বিরোধীদের অভিযোগ, নতুন চাকরি তো দূর, উল্টে নোটবন্দি আর জিএসটির কারণে কাজ হারিয়েছেন বা হারাচ্ছেন বহু মানুষ। আগামী লোকসভা ভোটে কর্মসংস্থানের মতো স্পর্শকাতর বিষয়কে যে বিরোধীরা প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার করবে, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেরা। সে জন্যই শুরু হয়েছে কাজ জোগানোর তৎপরতা। সব মন্ত্রককে চাকরিমুখী প্রকল্প রচনায় বিশেষ জোর দিতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এত দিন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরি সৃষ্টির কথা বলে এসেছে। কিন্তু পড়ুয়াদের একটি বড় অংশ, যাঁরা বিএ, বিকম বা বিএসসি পড়েন, তাঁদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণে আগ্রহী করে তোলা যায়নি। ফলে ফি বছর বেড়েছে বেকারের সংখ্যা। আগামী ভোটে যা চাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে মোদীর কাছে। এই পরিস্থিতিতে নিজের মন্ত্রকের চার বছরের কাজের ফিরিস্তি দিয়ে জাভড়েকর বলেছেন, ‘‘নতুন পাঠ্যক্রম বাজারের চাহিদার উপর নির্ভর করে তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি বিএ, বিএসসি ও বিকম তিনটি শাখাতেই অন্তর্ভুক্ত হবে। যাতে তিন শাখার ছাত্রছাত্রীরা স্নাতক হয়েই চাকরি পেতে পারেন।’’ পাঠ্যক্রম তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-কে। তবে কত দিনে তা তৈরি ও কবে চালু হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি জাভড়েকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy