লোকসভা জয়ের পথে কাঁটা দূর করার অঙ্ক দলের নেতাদের বোঝালেন অমিত শাহ।
নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সব দল একজোট হলে কী হবে? দলিতদের মন কী ভাবে জয় করতে হবে? কত ভোট পেলে বিজেপি ফের ক্ষমতায় আসবে? দিনভর বৈঠক করে সব রাজ্য থেকে আসা বিজেপি নেতাদের উত্তরমালা তুলে দিলেন সভাপতি। সঙ্গে এখন থেকেই লোকসভার জন্য ঝাঁপানোর মন্ত্র।
লড়াইটা যে ‘মোদী বনাম বিরোধী জোট’ হতে চলেছে, তা বুঝতে পারছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাই বিরোধীরা একজোট হলে বিজেপি কোথায় থাকবে, তা নিয়ে সমস্ত লোকসভা কেন্দ্রে চার পাতার রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছেন অমিত। প্রতি রাজ্যে গিয়ে তিনি নিজে সেগুলি পরখ করবেন।
অমিতের অঙ্ক, গত লোকসভায় বিজেপি প্রায় ১৭ কোটি ভোট পেয়েছিল। কিন্তু মোদীর প্রকল্পের সুবিধে পেয়েছেন প্রায় ৫০ কোটি গরিব মানুষ। যে কোনও মূল্যে তাঁদের মন জয় করতে হবে। ব্লক স্তর থেকেই দলিতদের অসন্তোষ দূর করতে বলেছেন অমিত। দলের নেতাদের বুঝিয়েছেন, দলিত-আদিবাসীরা সাধারণত আঞ্চলিক দলকে সমর্থন করেন। মোদীর প্রকল্পকে হাতিয়ার করে কাছে টানতে হবে এঁদের। দলিতদের ঘরে নেতাদের রাত্রিবাসের রিপোর্টও আজ নিয়েছেন অমিত।
কংগ্রেসের পতনের দৃষ্টান্ত সামনে রেখে অমিত বলেন, একমাত্র আত্মসন্তুষ্টিই বিজেপিকে হারাতে পারে। মোদীর ‘ক্যারিশমা’-কে সামনে রেখে বুথ স্তরের সংগঠন এতটাই মজবুত করতে হবে, যাতে বিজেপি আগামী ৫০ বছর পঞ্চায়েত থেকে লোকসভায় ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে। বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হুসেন বলেন, ‘‘অনেকে বলেন, ২০১৪ সালে ফাঁকতালে জিতে গিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তার পরে ১১ রাজ্যে এবং আগামিকাল কর্নাটকের জয় প্রমাণ করবে, বিজেপি সরকার চালাতে পারে, বানাতে পারে, ফের ক্ষমতায় আসতেও পারে।’’
সংগঠন চাঙ্গা রাখতে আগামী বৃহস্পতিবার দলের সব মোর্চার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদী। চলতি মাসে সরকারের জন্মদিন ও জুন মাসে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুদিনকেও ঘিরেও তৈরি হচ্ছে কর্মসূচি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy