Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Assam Border

Assam-Mizoram Border Clash: অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করল মিজোরাম পুলিশ

হিমন্ত ছাড়াও অসমের চার শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক, দু’জন আমলা এবং ২০০ জন অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে তারা।

হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ছবি: পিটিআই।

হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২১ ০৩:২১
Share: Save:

দুই রাজ্যের সীমানায় সংঘর্ষের ঘটনায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করল মিজোরাম পুলিশ। হিমন্ত ছাড়াও অসমের চার শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক, দু’জন আমলা এবং ২০০ জন অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে তারা।

গত ২৬ জুলাই মিজোরামের এক পুলিশ ইনস্পেক্টর এফআইআর দায়ের করেন এঁদের বিরুদ্ধে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা, অস্ত্র আইন এবং মিজোরাম কনটেনমেন্ট অ্যান্ড প্রিভেনশন অব কোভিড-১৯ অ্যাক্ট ২০২০-তে মামলা রুজু করা হয়েছে।

এফআইআরে মিজোরাম পুলিশ জানিয়েছে, অসম পুলিশের আইজিপি-র নেতৃত্বে ২০০ জনের সশস্ত্রধারী একটি দল জোর করে তাদের পুলিশ ক্যাম্প দখল করতে এসেছিল। মিজোরামের পুলিশ সংখ্যায় কম থাকায় ওই দলের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি। খবর পেয়েই কোলাসিবের পুলিশ সুপার তাঁর দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং অসম পুলিশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বোঝাপড়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু অসম পুলিশ তাতে কান দেয়নি। উল্টে পুলিশ সুপারকে জানানো হয়, ওই এলাকা অসমের মধ্যে পড়ছে। সেখানে তারা পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করতে চায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো।

এফআইআরে আরও বলা হয়েছে যে, অসম পুলিশের একটি দল তাঁবু এবং ক্যাম্প বানানোর প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে। জোর করে মিজোরামের পুলিশচৌকি দখল করে সেখানে নিজেদের ক্যাম্প বানানোর লক্ষ্য ছিল তাদের।

অন্য দিকে, দুই রাজ্যের দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের মধ্যে শুক্রবার মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা অভিযোগ করেন, মিজোরাম পুলিশ প্রথমে গুলি চালায়নি। অসম পুলিশ চালিয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। হিমন্তও বলেছে তিনি শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহী। যদি প্রয়োজন পড়ে তা হলে সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে দ্বিতীয় দফার বৈঠক করতে রাজি আছি।”

অসমের মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার আগেই এই ঘটনার তদন্তে যোগ দেওয়ার জন্য মিজোরাম পুলিশকে নোটিস পাঠায় অসম পুলিশ। ২৬ জুলাইয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় অসমের পাঁচ পুলিশকর্মী এবং এক নাগরিকের মৃত্যুর তদন্তে মিজোরামের সহযোগিতা চেয়ে নোটিস পাঠায় কাছাড় থানার পুলিশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE