বন্যায় বিধ্বস্ত অসম। — ছবি পিটিআই থেকে।
দিন দিন অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার তিন শিশু-সহ মারা গেলেন আট জন। সে রাজ্যে এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত বন্যায় মারা গিয়েছেন ১৫৯। তাঁদের মধ্যে ১৪১ জন জলে ডুবে মারা গিয়েছেন। ধসের জন্য ধ্বংসস্তূপ চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন ১৮ জন।
টানা বর্ষণের জেরে বিপর্যস্ত ২৫ জেলার দু’হাজার ৬০৮টি গ্রাম। সেখানে ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। মরিগাঁও জেলার কয়েকটি গ্রামের অবস্থা শোচনীয়। ঘরের চাল পর্যন্ত ডুবে গিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে। মাটিপর্বত গ্রামের বাসিন্দা শ্যাম বাহাদুর বলেন, ‘‘গ্রামে খাবার বা পানীয় জল নেই। আমাদের কোনও নৌকাও নেই। কলার ভেলাই ভরসা। মাঝেমধ্যে সরকারি ত্রাণ এসে পৌঁছয়। আর্জি জানাচ্ছি, দয়া করে ত্রাণ দিন। নিরুপায় হয়ে এখন ঈশ্বরের কাছে বৃষ্টি থামার প্রার্থনা করছি।’’
বন্যায় অসমের কাছাড়, বাজালি, বরপেটা, বিশ্বনাথ, ডিব্রুগড়, ডিমা হাসাও, গোয়ালপাড়া-সহ বহু জেলা এখনও জলের নীচে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কাছাড়। সেখানে ১৪ লক্ষ ৩২ হাজার মানুষের জীবন বিপন্ন। ২২টি জেলায় ৫৫১টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন তিন লক্ষ পাঁচ হাজার মানুষ। ৭৬ হাজার ১১৫ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘোষণা, ত্রাণশিবিরে যাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন, প্রতিটি পরিবারকে তিন হাজার ৮০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বন্যার যে সব পড়ুয়ার বইখাতা নষ্ট হয়েছে, তাদেরও হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy