Sourced by the ABP
ফের জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ হিমন্তবিশ্ব শর্মা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। ‘ক্রসকারেন্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের তরফে আরটিআই করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখানো হয়, হিমন্ত মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই নগাঁও জেলায় কলিয়াবরে দারগাজি গ্রামের পাঁচ বাসিন্দার কাজ থেকে ৫০ বিঘা ২ কাঠা কৃষিজমি কেনেন হিমন্তর স্ত্রী রিণিকি ভুঁইঞা শর্মা। কৃষিজমির শ্রেণি পরিবর্তন করে সেখানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ উদ্যোগ স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্পদ যোজনা থেকে ১০ কোটি টাকার সরকারি সাহায্যও আদায় করে রিণিকির সংস্থা ‘প্রাইড ইস্ট এন্টারটেনমেন্ট’। বেশ কিছু সংবাদ ও বিনোদন চ্যানেল, চা বাগান, হোটেল, রিসর্ট স্কুল, সংবাদপত্র-সহ বহু ব্যবসায় জড়িতওই প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নিয়ম হল, সিলিং আইনানুযায়ী কেউ ৪৯.৫ বিঘার বেশি কৃষিজমির মালিক হতে পারে না। ‘ক্রসকারেন্ট’-এর দাবি, তাই মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী জমি কেনার পরেই তার শ্রেণি বদলে শিল্পোদ্যোগে জড়িত জমি করে দেওয়া হয়। তার ভিত্তিতে ‘প্রাইড ইস্ট এন্টারটেনমেন্ট’ সেখানে ‘অ্যাগ্রো প্রসেসিং ক্লাস্টার’ নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্রীয় সাহায্যের আবেদন করে ও ১০ কোটি টাকা পেয়েও যায়। গোটা প্রক্রিয়া মাত্র ১০ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়। কী ভাবে বিনোদন সংস্থাকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়া বাবদ কেন্দ্র সাহায্য দিল- তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
উল্লেখ্য, ওই প্রতিষ্ঠানটি অতীতেও আরটিআইয়ের মাধ্যমে জোগাড় করা তথ্যের ভিত্তিতে দাবি করেছিল কামরূপের বঙ্গোরা এলাকায় ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্দ ১৮ একর জমি দখল করেছে হিমন্তের স্ত্রী-পুত্রের নামে থাকা কোম্পানি। বিভিন্ন প্রমাণ তুলে ধরে হিমন্ত ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে কোভিডের সময়ে স্যানিটাইজ়ার ও পিপিই কিট কেনা নিয়ে কেলেঙ্কারির অভিযোগও এনেছিল তারা।
তৃণমূলের মিডিয়া ইনচার্জ অভিজিত মজুমদার বলেন, ‘‘শর্মা পরিবারের বিরুদ্ধে আগেও অন্যায় ভাবে জমি কেনা, জমির চরিত্র বদল করার মতো অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে হলে এত ক্ষণে কেন্দ্র সিবিআই, ইডি পাঠিয়ে দিত। তাই আমাদের দাবি, অসমেও শর্মা পরিবারের জমি সংক্রান্ত ঘটনার তদন্তভার ইডিকে দেওয়া হোক।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সর্বদা সততার বাণী দেওয়া ও নীতিকথা আওড়ানো হিমন্তের পরিবার ও সরকার দুইই দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।’’
অসম জাতীয় পরিষদ বলে, মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার প্রভাব খাটিয়ে কৃষি জমির চরিত্র বদলে দিচ্ছে, কেন্দ্রের সাহায্য আদায় করছে। এর বিচারবিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তির বিবরণ ও উৎস জনসমক্ষে আনা হোক।
রাইজর দলের মতে, কখনও কৃষকের জমি, কখনও ভূমিহীনদের জমি অন্যায় ভাবে টাকার জোরে, ক্ষমতার জোরে দখল করছে শর্মা পরিবার। ওই অভিযোগের জবাব দিন হিমন্ত। পরিবারের সম্পত্তির কথা প্রকাশ করুন নীতিবাক্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার কথা বলা মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে যোগাযোগ করা হলেও জবাব মেলেনি।।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy