শ্রদ্ধা-কাণ্ডের উল্লেখ এ বার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের মুখে। ফাইল চিত্র ।
দেশে যদি শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতা না থাকেন তা হলে প্রতিটি শহরেই আফতাবের মতো ছেলেরা জন্ম নেবে। আসন্ন গুজরাত বিধানসভার জন্য নির্বাচনী প্রচারে নেমে এমন মন্তব্যই করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
সম্প্রতি দিল্লির মেহরৌলীতে একত্রবাসে থাকা প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। সেই প্রসঙ্গই এ বার উঠে এল অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের প্রথম সারির বিজেপি নেতা হিমন্তের মুখে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায় গুজরাতে বিজেপির হয়ে ব্যাট করতে নেমেছেন হিমন্ত। গুজরাতে বিজেপির হয়ে প্রচারে গিয়ে কচ্ছের একটি সমাবেশে দর্শকদের সতর্ক করে হিমন্ত বলেন, ‘‘দেশে যদি কোনও শক্তিশালী নেতা না থাকেন যিনি দেশকে মা বলে মনে করেন, তা হলে আফতাবরা প্রতিটি শহরে জন্ম নেবে। আমরা আমাদের সমাজকে এদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারব না। সুতরাং, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকে তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’
শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডকে ‘লভ জিহাদের’ উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলেও মন্তব্য করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
হিমন্তের দাবি, ‘‘আফতাব মুম্বই থেকে শ্রদ্ধাকে এনে লভ জিহাদের নামে ৩৫টি টুকরো করে ফেলেছে। আর লাশ কোথায় রেখেছিল? ফ্রিজে। আর লাশ ফ্রিজে থাকা অবস্থায় সে অন্য এক মহিলাকে নিয়ে আসে। শ্রদ্ধার কাটা দেহ ফ্রিজে থাকার সময়েই সে ওই নতুন মহিলার সঙ্গে প্রেম করতে শুরু করে।’’
প্রসঙ্গত, ৩ বছর আগে একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে দেখা হয়েছিল শ্রদ্ধা এবং আফতাবের। প্রথমে মুম্বইয়ে থাকলেও পেশায় কল সেন্টার কর্মী শ্রদ্ধা পরে আফতাবের সঙ্গে দিল্লিতে চলে আসেন। সেখানে তাঁরা মেহরৌলীর একটি ভাড়া বাড়িতে একত্রবাসে থাকতে শুরু করেন। গত ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলীতে একত্রবাসে থাকা শ্রদ্ধাকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে প্রেমিক আফতাবের বিরুদ্ধে। এর পর শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে ফেলারও অভিযোগ রয়েছে ধৃত প্রেমিকের বিরুদ্ধে। সেই মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল নতুন ফ্রিজে। এর পর নাকি কাছের একটি জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ছড়িয়ে দিয়ে আসেন অভিযুক্ত আফতাব। শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নামার পর দিল্লি পুলিশ গত গত শনিবার আফতাবকে গ্রেফতার করে। তার পর থেকেই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রমাণ খুঁজে বার করতেও তৎপর হয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy