মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন।
আগামি দু’দিন দিল্লি হবে কাবুলময়!
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নতুন দক্ষিণ এশিয়া নীতি ঘোষণা করার পর আফগানিস্তান নিয়ে কোমর বেঁধেছে সাউথ ব্লক। দ্বিপাক্ষিক দৌত্য বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ। পাকিস্তানকে টেক্কা দিয়ে কাবুলে নিজের প্রভাব বাড়ানো, সে দেশের শান্তি প্রক্রিয়ায় আরও বেশি করে সামিল হওয়ার চেষ্টায় মোদী সরকারের শীর্ষ নেতারা ঘনঘন যাচ্ছেন সে দেশে।
এ বার নয়াদিল্লিতেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হচ্ছে জোরকদমে। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি সপার্ষদ আগামিকাল আসছেন দিল্লি। কালই সন্ধ্যায় তিন দিনের সফরে ভারতে পা রাখছেন মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসনও।
বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘ভারত এবং আফগানিস্তান দু’দেশই ঘানির সফরকালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমস্ত দিকগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করবে। নতুন অংশীদারিত্ব নিয়েও কথা হবে।’’ ঘানি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল— সবার সঙ্গেই। একই ভাবে টিলারসনের ভারত সফরের মূল লক্ষ্য, আফগানিস্তানে ভারতের সর্বাত্মক বিনিয়োগের রাস্তাগুলি খতিয়ে দেখা। নয়াদিল্লি এটা জানে যে, মুখে ভারতকে অধিক গুরত্ব দেওয়া হলেও আফগানিস্তান প্রশ্নে ইসলামাবাদকে অবজ্ঞা করা সম্ভব নয় ওয়াশিংটনের পক্ষে। কিন্তু আপাতত সেই দিকটিকে গুরুত্ব না দিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাইছে নয়াদিল্লি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ভারতের এই আফগান-প্রয়াস নিয়ে কথা বলতে রাশিয়ার পুতিন সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ দূত এসেছিলেন নয়াদিল্লি। জামির কাবুলভ নামের এই বিশেষ দূত নয়াদিল্লিতে বৈঠক করেন মোদী সরকারের কর্তাদের সঙ্গে। কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, আমেরিকা কাবুল প্রশ্নে ভারতকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার পর গোটা বিষয়টির জল মাপতে উৎসাহী রাশিয়া। চিন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে অক্ষ তৈরি করা রাশিয়া এই মুহূর্তে তালিবানকে কাজে লাগাতে চাইছে আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে। রাশিয়ার ধারণা, সিরিয়া ও ইরাক থেকে আইএস জঙ্গিরা তাড়া খেয়ে ডেরা বাঁধছে আফগানিস্তানে। সেক্ষেত্রে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলাটাই উদ্দেশ্য তাঁদের। তাই পাক যোগ বাড়াচ্ছে মস্কো। এই মুহূর্তে আফগানিস্তান থিয়েটারে ভারত কতটা মার্কিন সাহায্য নিচ্ছে তা জানতে ব্যগ্র রাশিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy