আতিক এবং তার পুত্র আসাদ। ছবি: সংগৃহীত।
আতিক আহমেদের কনভয়ে হামলা চালিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে অস্বস্তিতে ফেলাই লক্ষ্য ছিল আসাদ আহমেদের। এমনই দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক সূত্র। আর গোটা পরিকল্পনাই করেছিলেন আতিক-পুত্র আসাদ।
মামলার কারণে আতিককে গুজরাতের সাবরমতী জেল থেকে প্রয়াগরাজে, আবার প্রয়াগরাজ থেকে সাবরমতী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশের ওই সূত্রের দাবি, সাবরমতী জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় আতিকের কনভয়ে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন আসাদ। ফলে কঠোর নিরাপত্তা সত্ত্বেও কী ভাবে আতিকের কনভয়ে হামলা হল, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। শুধু তাই-ই নয়, এই হামলার জেরে আতিককে সাবরমতী জেলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিও ভেস্তে যাবে। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছিল পুলিশ।
পুলিশের ওই সূত্রের আরও দাবি, গত ১১ ফেব্রুয়ারি কাকা আশরফের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন আসাদ। ঘটনাচক্রে সে দিনই তাঁর বাবা আতিককে উমেশ পাল অপহরণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। ওই সূত্রের দাবি, ১১ ফেব্রুয়ারিই কাকার সঙ্গে দেখা করার পর উমেশকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ওই ‘বৈঠকে’ আশরফ এবং আসাদ ছাড়াও, আসাদের আরও ৮ সঙ্গী ছিলেন। বরেলী জেলে বন্দি আশরফ। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন আসাদ। জেলের যেখানে তাঁরা সাক্ষাৎ করেছিলেন, সেখানে কোনও ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ছিল না বলে দাবি ওই সূত্রের। সেই ‘বৈঠকের’ কথা স্বীকারও করেছেন আতিক এবং আশরফ। এমনটাই দাবি করেছে পুলিশের ওই সূত্র।
তার পরই গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করা হয় উমেশ পালকে। অভিযোগ ওঠে আতিক, তাঁর ভাই আশরফ এবং আতিকের পুত্র আসাদের বিরুদ্ধে। উমেশের খুনের পর প্রয়াগরাজেই একটি বাড়িতে এক রাত লুকিয়ে ছিলেন আসাদ। ২৬ ফেব্রুয়ারি মোটরসাইকেলে কানপুর যান। সেখান থেকে বাসে দিল্লির আনন্দ বিহার। দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া নগর এবং সঙ্গম নগরে আশ্রয় নেন। গত ১৫ মার্চ রাজস্থানের অজমেরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে মুম্বই যান। তার পর নাসিক এবং কানপুর হয়ে ঝাঁসিতে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানেই কয়েক দিন ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। এই ক’দিনে আসাদ বাস, ট্রেন এবং মোটরসাইকেলে মোট ৪০০০ কিমি সফর করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy