দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
২১ দিন বাইরে থাকার পর রবিবার বিকেলে তিহাড় জেলে আত্মসমর্পণ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তবে জেলে যাওয়ার আগে তিনি রাজঘাট, হনুমান মন্দির এবং আপের সদর দফতর ঘুরে যান। আপের সদর দফতর থেকে কেজরী বলেন, ‘‘২১ দিনের মধ্যে আমি এক মিনিটও নষ্ট করিনি।’’ অন্য দিকে, দিল্লি আদালত জেল হেফাজতের মেয়াদ ৫ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন।
লোকসভা ভোটের কারণে সুপ্রিম কোর্ট কেজরীওয়ালের অন্তর্বর্তিকালীন জামিন মঞ্জুর করেছিল। তবে কিছু শর্ত চাপিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য ছিল, জামিনে মুক্তি পাওয়া ২১ দিনে কেজরীওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ভবন কিংবা সচিবালয়ে যেতে পারবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলা নিয়ে কোথাও কোনও মন্তব্য করতেও নিষেধ করা হয়েছিল কেজরীকে। জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে দলের হয়ে টানা প্রচার করেছেন তিনি।
রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বার হন। সেখান থেকে সোজা চলে যান রাজঘাটে। মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। তার পর হনুমান মন্দির ঘুরে যান আপের সদর দফতরে। সেখানে তাঁকে দেখার জন্য ভিড় করেছিলেন আপের কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের উদ্দেশে কেজরী বলেন, ‘‘আমি ২১ দিনের এক মিনিটও নষ্ট করিনি। আমি সমস্ত দলের হয়ে প্রচার করেছি। আমি দেশকে বাঁচানোর জন্য প্রচার সেরেছি। দেশ আগে, তার পর আমার দল।’’
এখানেই থেমে থাকেননি কেজরী। তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রচার অভিযানের সময় সবচেয়ে ভাল জিনিস যেটা ঘটেছে, সেটা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বীকার করেছেন, আমার বিরুদ্ধে তাঁর কাছে কোনও প্রমাণ নেই। এটা একনায়কত্ব। যাকে ইচ্ছে জেলে ঢুকিয়ে এই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা চলছে, যখন কেজরীওয়ালকে জেলে রাখা যায়, তো যে কাউকে জেলে ঢোকানো সম্ভব।’’
রবিবার কেজরীওয়ালের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুনীতা, দিল্লির মন্ত্রী অতিশী মারলেনা, কৈলাশ গৌহলত, সৌরভ ভরদ্বাজ। তা ছাড়া ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ, সন্দীপ পাঠক এবং দলীয় নেতা দুর্গেশ পাঠক-সহ অন্যেরা।
দিল্লির ‘আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে’ গত ২১ মার্চ কেজরী গ্রেফতার হয়েছিলেন। গত ১০ মে আপপ্রধানকে লোকসভা ভোটের প্রচারে সুযোগ দিতে ১ মে পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে শীর্ষ আদালত। জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরী। তাঁর আবেদন ছিল, পিইটি-সিটি স্ক্যান-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক পরীক্ষার জন্য জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy