Advertisement
E-Paper

অধ্যাদেশ নিয়ে কংগ্রেসের উপরে চাপ কেজরীর

কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য, কেজরীওয়াল তাঁদের জন্য কী ছাড়ছেন তা দেখেই অর্ডিন্যান্স প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে দল।

Arvind kejriwal.

আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৩ ০৬:১৩
Share
Save

আগামী শুক্রবার পটনায় সম্ভাব্য বিরোধী মহাজোটের বৈঠক। কংগ্রেস নেতৃত্ব আদৌ আম আদমি পার্টির (আপ) সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলার প্রশ্নে আন্তরিক কি না, তা নিয়ে বৈঠকের আগে প্রকাশ্যে অবস্থান জানানোর দাবি তুললেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। অন্য বিরোধী দলগুলিও আপের পাশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বকে অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য বলুক, এমনটাই চাইছেন কেজরীওয়াল। যেটা আসলে কংগ্রেসের উপরে তাঁর চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসাবেই দেখছে অন্য বিরোধী দলগুলি।

আমলাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিবাদ ছিল দিল্লি সরকার ও কেন্দ্রের মধ্যে। সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলায় দিল্লি সরকারের পক্ষে রায় দেয়। পাল্টা পদক্ষেপে অর্ডিন্যান্স এনে ওই ক্ষমতা নিজেদের হাতেই রেখে দেয় কেন্দ্র। আসন্ন বাদল অধিবেশনে ওই অর্ডিন্যান্সকে বিল হিসাবে সংসদে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে মোদী সরকার। লোকসভায় সংখ্যার জোরে বিজেপি ওই বিল পাশ করিয়ে নিতে সক্ষম হলেও রাজ্যসভায় এই মুহূর্তে ম্যাজিক সংখ্যার চেয়ে পিছিয়ে আছে বিজেপি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যসভায় বিরোধীদের একজোট করে সরকারকে পরাস্ত করার কৌশল নিয়েছে কেজরীওয়ালের দল। অন্য বিরোধী দলেরা আপের পাশে দাঁড়ালেও সমর্থনের ব্যাপারে এখনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি কংগ্রেস।

কংগ্রেস যাতে সমর্থনে এগিয়ে আসে, মহাজোটের বৈঠকের আগেই অন্য দলগুলিকে কংগ্রেসকে সেটা বোঝানোর জন্য আজ অনুরোধ করেছেন কেজরী। তাঁর কথায়, ‘‘এই সমস্যা কেবল দিল্লির একার নয়। যৌথ তালিকাভুক্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে এ ধরনের অর্ডিন্যান্স অন্যান্য রাজ্যের জন্যও জারি করতে পারে কেন্দ্র।’’ তাই গোড়াতেই এ ধরনের অর্ডিন্যান্স রোখার প্রশ্নে সরব হয়েছেন কেজরীওয়াল। তাঁর কথায়, ‘‘আমি সংবিধান নিয়ে বৈঠকে যাব। কারণ আজ যা দিল্লির সঙ্গে হয়েছে, কাল তা পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে হতে পারে। আমি আশা করছি, অন্য বিরোধী দলগুলি এ বিষয়ে কংগ্রেসকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে অনুরোধ করবে।’’

অন্য দিকে কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য, কেজরীওয়াল তাঁদের জন্য কী ছাড়ছেন তা দেখেই অর্ডিন্যান্স প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে দল। পারস্পরিক এই স্নায়ুর যুদ্ধে আজ কেজরীওয়াল দাবি করেছেন, শুক্রবারের বৈঠকের গোড়াতেই ওই অর্ডিন্যান্স নিয়ে আলোচনা হবে। যদিও জেডিইউ সূত্রের মতে, বৈঠকে প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখবেন নীতীশ কুমার। তার পরে বক্তব্য রাখবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। খড়্গের পরে একে একে বক্তব্য রাখবেন অন্য আঞ্চলিক দলের নেতারা। সূত্রের মতে, বৈঠকের শেষ বক্তা হিসাবে রাহুল গান্ধীর নাম ভেবে রেখেছেন নীতীশ কুমারেরা। রাহুল বর্তমানে বিদেশে। ২২ জুন মধ্যরাতে বিদেশ থেকে ফিরে পরের দিন পটনার বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি।

এ দিকে, পটনার বৈঠকের আগে আজ চেন্নাইয়ে বিরোধী জোটের ঐক্য ঝালিয়ে নিলেন এম কে স্ট্যালিন ও তেজস্বী যাদবেরা। আজ ডিএমকে নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধির স্মরণে থিরুভারুরে একটি মিউজ়িয়াম উদ্বোধনের কথা ছিল নীতীশ কুমারের। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী শরীর খারাপের জন্য যেতে না পারলেও উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি এবং স্ট্যালিন দু’জনেই আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারানোর উপরে জোর দেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Arvind Kejriwal Congress

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}