(বাঁদিকে ) অরবিন্দ কেজরীওয়াল । কে কবিতা (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
আপাতত তিহাড় জেলেই থাকবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র নেত্রী কে কবিতা। তাঁদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ ১৪ দিন বৃদ্ধি করেছে দিল্লির আদালত। ৭ মে তাঁদের আদালতে হাজির করানো হবে। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় তাঁদের গ্রেফতার করেছে ইডি।
২১ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন আপ প্রধান কেজরীওয়াল। সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন তিনি। মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে। ১৫ এপ্রিল আবেদন শুনেছিল সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়েছে, দ্রুত শুনানি করবে না। তার দিন কয়েক আগে ওই একই আবেদন খারিজ করেছিল দিল্লি হাই কোর্ট। জানিয়েছিল, কেজরীর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ দাখিল করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, দিল্লিতে আবগারি নীতি প্রণয়নে বড় ভূমিকা রয়েছে কেজরীর। তিনি এ জন্য ১০০ কোটি টাকা ঘুষও নিয়েছিলেন। সেই টাকা পঞ্জাব এবং গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে আপের প্রচারে খরচ করা হয়েছে। কেজরীওয়াল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ‘রাজনৈতিক স্বার্থ’ নিয়ে বিজেপি এ সব করছে।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেজরীকে ন’বার সমন পাঠানো হয়েছিল। তিনি প্রতি বারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। গত ২১ মার্চ ছিল নবম বারের হাজিরার দিন। ইডি দফতরে না গিয়ে কেজরী সে দিন গিয়েছিলেন হাই কোর্টে। রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। তার পর ওই দিন রাতেই দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা। ঘণ্টা দুয়েক তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্য দিকে তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে কে কবিতার জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে আগামী ২ মে, দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালতে। সোমবার বিচারক কাবেরী বাওয়েজা রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy