জলে মিশে রয়েছে বিষাক্ত আর্সেনিক। না জেনেই তা পান করছেন হাইলাকান্দির কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা!
জেলার জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী বিভাগের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। বিভাগীয় সূত্রে খবর, হাইলাকান্দির ২৪৩টি এলাকায় ভূগর্ভস্থ জলে বেশি মাত্রায় আর্সেনিক মিশে রয়েছে। ৫৫টি এলাকায় তার মাত্রা ৫০ শতাংশেরও বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। কিন্তু এ সবই অজানা সাধারণ মানুষের। প্রশাসনিক হিসেবে, লালার আয়নাখাল গ্রাম পঞ্চায়েতের কুকিনগরে জলে আর্সেনিকের মাত্রা ৫০ শতাংশের বেশি। কিন্তু রতন নাথের মতো ওই গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দা তা জানেনই না। আর্সেনিকের নাম শোনেননি অনেকে। এ কথা জানতেন না স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি চৌধুরী চরণ গোঁড়ও। একই পরিস্থিতি সুদর্শনপুর গ্রামেও। সেখানেও মাটির নীচের জলে মিলেছে আর্সেনিক। এ বিষয়ে প্রশাসন যে যথেষ্ট চিন্তিত নয় তার ইঙ্গিত মিলেছে হাইলাকান্দির বিভাগীয় কার্যবাহী আধিকারিক জয়দেব নাথের কথাতেই। তিনি বলেন, ‘‘এ দেশে ভূগর্ভস্থ জলে ৫০ শতাংশের নীচে আর্সেনিক থাকলে তা সাধারণ জল হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে, অন্যান্য দেশে ১০ শতাংশের বেশি আর্সেনিকযুক্ত জল বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত।’’ জয়দেববাবু জানান, মাটির নীচের জলে আর্সেনিক থাকলে সে সব এলাকায় উৎপাদিত শাকসব্জিতেও তা মিশে যেতে পারে। তা মিশতে পারে গরুর দুধেও।
আর্সেনিক কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সরকার কী পদক্ষেপ করছে? জয়দেববাবু জানান, সে সব জায়গায় রিং-ওয়েল তৈরি করে পানীয় জলের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। লালার আয়নাখালের জয়নগরপুঞ্জি ও পাকুড়িয়াপুঞ্জিতে রিং-ওয়েল তৈরি করা হয়েছে। জয়দেববাবু বলেন, ‘‘আর্সেনিক কবলিত এলাকায় প্রশাসনের তরফে জল পরিশোধনের ফিল্টারও বিতরণ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy