Advertisement
E-Paper

শিলিগুড়ির বারে দেখা, তার পর প্রেম, নেপালি মহিলাকে খুন দেহরাদূনের এক সেনাকর্তার

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রমেন্দু উপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনে কর্মরত। নিহত মহিলার নাম শ্রেয়া শর্মা (৩০)। সোমবার দেহরাদূন থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত সেনাকর্তাকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

অভিযুক্ত সেনাকর্তাকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:০৩
Share
Save

পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির একটি বারে গিয়ে সাক্ষাৎ হয়েছিল দু’জনের। তার পর ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই নেপালি মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠল ভারতীয় সেনার এক লেফটেন্যান্ট কর্নেলের বিরুদ্ধে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রমেন্দু উপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনে কর্মরত। নিহত মহিলার নাম শ্রেয়া শর্মা (৩০)। সোমবার দেহরাদূনের সিরওয়াল গঢ় থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মহিলা খুন হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত সেনাকর্তাকে প্রেম নগরের পণ্ডিতওয়ারিতে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার রাতে মহিলার দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। রাস্তার ধারে পড়ে ছিল শ্রেয়ার দেহ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, লং ড্রাইভে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শ্রেয়াকে সিরওয়াল গঢ়ের একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে আসেন সেনাকর্তা। তার পর তাঁর মাথায় হাতুড়ি মেরে খুন করেন। অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, শিলিগুড়িতে কর্মরত থাকার সময় একটি বারে নিয়মিত যেতেন সেনাকর্তা রমেন্দু। সেখানেই শ্রেয়ার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। শ্রেয়া আদতে নেপালের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে তিনি শিলিগুড়িতে থাকতেন।

সেনাকর্তা বিবাহিত। কিন্তু শ্রেয়ার সঙ্গে তাঁর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তিন বছর ধরে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এর পর সেনাকর্তা দেহরাদূনে বদলি হয়ে যান। তখন শ্রেয়াকেও সঙ্গে করে নিয়ে যান। সেখানে একটি ফ্ল্যাটে রেখেছিলেন শ্রেয়াকে। সেই ফ্ল্যাটের ভাড়া দিতেন সেনাকর্তা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, সেনাকর্তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন শ্রেয়া। শনিবার দেহরাদূনের রাজপুর রোডের একটি নাইট ক্লাবে গিয়েছিলেন দু’জনে। সেখান থেকে তাঁরা লং ড্রাইভে যান। শহরের বাইরে শ্রেয়াকে নিয়ে যান সেনাকর্তা। রাত দেড়টা নাগাদ সিরওয়াল গঢ়ে নিয়ে গিয়ে শ্রেয়ার মাথায় হাতুড়ি মেরে খুন করেন। তার পর তাঁর দেহ ফেলে রেখে চলে যান।

Murder Dehradun army

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}