অমৃতপালের সহযোগী লাভপ্রীত তুফান। ছবি: পিটিআই।
বের আজনালা থানায় খলিস্তানপন্থীদের তাণ্ডবের এক দিন পরে আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেলেন এক খলিস্তানপন্থী। কিন্তু এই গোটা ঘটনায় পঞ্জাবে খলিস্তানপন্থীদের ফের বাড়তে থাকা প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিংহ মানের ভূমিকা নিয়েও। অনেকের মতে, জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রানওয়ালের কায়দায় খলিস্তানি আন্দোলনের নয়া মুখ হিসেবে উঠে আসার চেষ্টা করছেন ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ সংগঠনের নেতা অমৃতপাল সিংহ। বিদেশেও গতিবিধি বাড়িয়েছে খলিস্তানিরা। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে ভারতীয় কনসুলেটে গত কাল রাতে খলিস্তানি পতাকা লাগিয়ে দিয়ে পালায় তারা।
২০২১ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে বিক্ষোভের সময়ে নজরে এসেছিল অভিনেতা তথা রাজনীতিক দীপ সিধুর তৈরি ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ সংগঠন। দুর্ঘটনায় দীপের মৃত্যুর পরে অমৃতপাল সিংহকে সেই সংগঠনের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
চলতি মাসে অমৃতপালের প্রাক্তন সহযোগী বারিন্দর সিংহ অভিযোগ করেন, তাঁকে অপহরণ করে অমৃতসরের জাল্লুপুর খেরা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই সংগঠন চালান অমৃতপাল। বারিন্দরের অভিযোগের ভিত্তিতে অমৃতপাল ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। আজনালা থানার পুলিশ অমৃতপালের সহযোগী লাভপ্রীত তুফানকে গ্রেফতার করে।
গত কাল লাভপ্রীতের মুক্তির দাবিতে লাঠি, বন্দুক, তরোয়াল নিয়ে আজনালা থানায় চড়াও হয় অমৃতপালের দলবল। পরে অমৃতপালের দেওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে লাভপ্রীতকে মুক্তি দিয়েছে আজনালার আদালত। অমৃতসর পুলিশের এসএসপি-র বক্তব্য, ‘‘লাভপ্রীতের পক্ষে পেশ করা প্রমাণ থেকে দেখা গিয়েছে অপহরণের সময়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাই তিনি মুক্তি পেয়েছেন।’’ মুখ্যমন্ত্রী মানের দাবি, ‘‘পঞ্জাব শান্তিপূর্ণই আছে।’’
লাভপ্রীতের মুক্তির পরেই অমৃতপালের হুঙ্কার, ‘‘খলিস্তানি আবেগ ফের জেগে ওঠার প্রশ্ন নেই। ওই আবেগ টিকে রয়েছে। মানুষের দুঃখ দুর্দশা থেকেই উঠে এসেছে খলিস্তান তৈরির দাবি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy