আম্মা একাই ১ লাখ ৬০ হাজার! প্রতিদ্বন্দ্বীর ঝুলিতে সেখানে ভোট মেরেকেটে দশ হাজারও নয়। তামিলনাড়ুর আর কে নগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে দে়ড় লাখেরও বেশি ভোটে জিতলেন জয়রাম জয়ললিতা। আম্মার এই জয়ে স্বস্তিতে এডিএমকে সমর্থকরা। তাঁদের মতে, এই ফলাফল জয়ার বিরুদ্ধে বিরোধীদের ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের’ জবাব। চেন্নাই-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দিনভর ছিল উৎসবের মেজাজ।
রাজ্যের বিরোধীরা অবশ্য জয়ার এই জয়কে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। শাসক দলই যখন হর্তাকর্তা, সেই ভোট কখনও সুষ্ঠু হতে পারে না। এই অভিযোগ তুলে প্রথমেই উপনির্বাচন পর্ব থেকে সরে দাঁড়ায় ডিএমকে, ডিএমডিকে, বিজেপি, কংগ্রেস, এমডিএমকে এবং পিএমকে। শাসক দলের বিরুদ্ধে আজ একই অভিযোগ উঠেছে মধ্যপ্রদেশ, কেরল, ত্রিপুরার মতো অন্য রাজ্যেও। এই পর্বের উপনির্বাচনে পাঁচটি রাজ্যের মোট ছ’টি বিধানসভা আসনের ফল ঘোষণা হয়েছে আজ। এবং সবগুলিতেই শাসক দলের জয়জয়কার। তামিলনাড়ুতে জিতেছে এডিএমকে। আর মধ্যপ্রদেশ, কেরল, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে যথাক্রমে বিজেপি, ইউডিএফ জোট, সিপিএম এবং কংগ্রেস। তবু জয়ললিতার জয়কে বিশেষ ভাবেই গুরুত্ব দিতে চাইছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কারণ, বাকিদের লড়াইটা ক্ষমতা ধরে রাখার হলেও, জয়ার ক্ষেত্রে এই উপনির্বাচন ছিল ফিরে আসার উপায়। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় একই সঙ্গে তাঁকে খোয়াতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়ক পদ। পরে অবশ্য কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ে বেকসুর মুক্তি পান আম্মা। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় বার শপথ গ্রহণও করেন। বাকি ছিল শুধু বিধানসভায় ফিরে আসা। তা সুনিশ্চিত করতেই উপনির্বাচনে এ বার নিজে পদত্যাগ করে দলনেত্রীর জন্য আর কে নগর আসনটি ছে়ড়ে দিয়েছিলেন সতীর্থ পি ভেত্রিভেল। আজ ফল ঘোষণার পর এক সমর্থকের বক্তব্য— ‘‘যে কোনও অবস্থাতেই আম্মার পাশে থাকব। কারণ আমাদের বিশ্বাস, তিনি কোনও অন্যায় করতে পারেন না।’’ আর আজকের ফলাফলে, সিপিআই প্রার্থী সি মহেন্দ্রনকে ১ লক্ষ ৫১ হাজার ২৫২ ভোটে হারিয়ে জিতেছেন জয়ললিতা। সমর্থকদের দাবি, ২০১৬-য় রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মহড়াটাও সেরে ফেললেন দলনেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy