—ফাইল চিত্র।
ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) ঘিরে অচলাবস্থা কাটাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে চান অমিত শাহ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির ঘোরতর বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, এনপিআর হল এনআরসি-র প্রথম ধাপ। তাই চলতি মাসে রাজ্য জুড়ে যে এনপিআর প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছিল, তা স্থগিত করে দেয় নবান্ন। এনপিআর করবে না বলে জানায় কেরলও। ফলে অস্বস্তিতে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা।
আজ একটি টেলিভিশন চ্যানেলে অমিতের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সাংবিধানিক ভাবে কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ করতে বাধ্য রাজ্য সরকারগুলি। তাই আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অবস্থানে অনড় থাকলে সংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে। সে-ক্ষেত্রে কী হবে? শাহ বলেন, ‘‘আমি প্রয়োজনে বাংলা ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করব। তাঁদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাব।’’
আরও পড়ুন: লুকিয়ে হবে না এনআরসি, বললেন শাহ
এ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কী বলবেন জানি না। কিন্তু কেউ যদি মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝাতে চান, তা হলে মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে বুঝিয়ে দেবেন যে, এনপিআর আসলে এনআরসি শুরু করার প্রথম ধাপ।’’ প্রসঙ্গত, নবান্ন আগেই লিখিত নির্দেশ জারি করে এনপিআর-এর সব কাজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত এখনও বহাল। জনগণনার প্রশিক্ষণের সঙ্গে এনপিআর প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছিল। প্রশাসনের একাংশ জানাচ্ছে, এখন জনগণনার প্রশিক্ষণ হবে। এনপিআর-এর নয়। কেন্দ্রের বরাদ্দ করা অর্থ প্রধানত প্রশিক্ষণ এবং সমীক্ষকদের সাম্মানিকের জন্য খরচ হবে।
আজকের সাক্ষাৎকারে অবশ্য অমিত শাহের দাবি, বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, প্রথমে এনপিআর নিয়ে সব রাজ্যই প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। এখন নাগরিকত্ব আইনের পরে এ নিয়ে ‘রাজনীতি করা’ শুরু হয়েছে। এনপিআর প্রসঙ্গে শাহের ব্যাখ্যা, ‘‘এতে নাগরিকদের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বোঝা যায়। গরিবদের জন্য প্রকল্প আনে সরকার। তাই আমি ওই মুখ্যমন্ত্রীদের বলতে চাই, রাজনৈতিক স্বার্থের কথা ভেবে গরিবদের জনমুখী পরিকল্পনার বাইরে রাখবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy