‘লড়াই মোদীর উন্নয়ন বনাম কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতির’! কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে বললেন শাহ ছবি: পিটিআই।
বিধানসভা ভোটের ঠিক আগেই আগেই রাজ্যের ওবিসি মুসলিমদের ৪ শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল করেছে কর্নাটকের বিজেপি সরকার। সেই সিদ্ধান্তের প্রশংসায় ধারাবাহিক প্রচার করে যাচ্ছেন কর্নাটকে ভোট প্রচারে আসা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে লড়াই হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়ন কর্মসূচি এবং কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতির।’’
শাহের দাবি, কংগ্রেস বা বিরোধীদের অভ্যাস থাকলেও, বিজেপি কখনও ধর্মের ভিত্তিতে তোষণের রাজনীতি করে না। যদিও কর্নাটকের বিজেপি সরকার ভোটের আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুসলিমদের বাতিল হওয়া ৪ শতাংশ সংরক্ষণের ফায়দা সমান ভাবে পাবে রাজ্যের দুই প্রভাবশালী হিন্দু গোষ্ঠী লিঙ্গায়েত ও ভোক্কালিগা সম্প্রদায়। সামাজিক প্রতিষ্ঠার দিক থেকেও উচ্চ বর্ণের ওই দুই শ্রেণি যথেষ্ট ‘সুরক্ষিত’।
লিঙ্গায়েতদের বড় অংশ বিজেপি সমর্থক হলেও ভোক্কালিগারা মূলত কংগ্রেস এবং জেডি(এস) শিবিরে বিভক্ত। সংরক্ষণের সুবিধা তাঁদের একাংশকে পদ্মমুখী করতে পারে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে কর্নাটকের ভোটের প্রচারে শাহ দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে মুসলিমদের সংরক্ষণের সুবিধা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কংগ্রেসের ভুল শুধরেছি।’’ যদিও ইতিহাস বলছে, ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ১৯৯৪ সালে জনতা দলের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার আমলে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া বর্তমানে জেডি(এস) প্রধান।
কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটের ঠিক আগে এ নিয়ে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করে ফায়দা নেওয়ার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের প্রশ্ন, সিদ্ধান্ত বাতিল আগে কেন করা হল না? সুপ্রিম কোর্টও ইতিমধ্যেই ওবিসি মুসলিমদের সংরক্ষণ বাতিল নিয়ে কর্নাটক সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। গত ১৩ এপ্রিল শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘‘প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে বলা যায়, একেবারে ভুল ধারণার ভিত্তিতে কর্নাটক সরকার মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ ৪ শতাংশ কোটা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy