কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে কর্নাটকের বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্ত প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তাড়াহুড়ো করে নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। এখনও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। আগামী সপ্তাহে শুনানি হবে। তার আগেই আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কর্নাটকে মুসলিমদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন। তাঁর যুক্তি, সংবিধানে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ হয় না। মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ তুলে দিয়ে বিজেপি সরকার সেই ভুল সংশোধন করেছে।
গত তিন দশক ধরে কর্নাটকে অনগ্রসর মুসলিমরা ওবিসিদের মধ্যে ৪% সংরক্ষণ পেয়ে আসছেন। বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে কর্নাটকের বিজেপি সরকার তা খারিজ করে দিয়ে ওই সংরক্ষণের সুবিধা রাজ্যের প্রভাবশালী ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছে কর্নাটক সরকার। অমিত শাহ আজ সেই সিদ্ধান্তের পক্ষে সওয়াল করে অভিযোগ তুলেছেন, কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল। কংগ্রেস একে বিজেপির মেরুকরণ ও জাতপাতের রাজনীতি হিসেবেই দেখছে। কংগ্রেস মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল বলে অমিত শাহের অভিযোগের জবাবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, বিজেপি গরিব ও সংখ্যালঘুদের অধিকার কেড়ে নিয়ে মেরুকরণের রাজনীতি করতে চাইছে।
কংগ্রেস নেতৃত্বের যুক্তি, কোনও রকম সমীক্ষা ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্নাটক সরকার। সম্প্রতি লিঙ্গায়েত সমাজের দুই নেতা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার ও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাভাদি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। লিঙ্গায়েত ভোটে ধস নামবে বুঝবে অমিত শাহ এখন ধর্মীয় মেরুকরণে জোর দিচ্ছেন। অমিক শাহ আজ পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন, ‘‘বিজেপির ইতিহাস বলে, যখন আমাদের দলের নেতারা অন্য দলে যোগ দেন, তখন তাঁরা জিততে পারেন না। কর্নাটকে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে। যদি কংগ্রেস মনে করে, তাঁরা জগদীশ শেট্টারের সাহায্যে জিতবে, তা হলে কংগ্রেস অন্তত মেনে নিচ্ছে যে তাদের নিজেদের ক্ষমতায় জেতার অবস্থা নেই।’’ শাহ দাবি করেন, জেডিএস-কংগ্রেস এই দু’দলে গোপন আঁতাত আছে। বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা কিন্তু জানিয়েছেন, শাহ নিজেই শেট্টারকে ধরে রাখতে রাজ্যসভার পদ, পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শেট্টার তা সত্ত্বেও দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy