জল্পনা চলছিলই! শর্ত, পাল্টা শর্তে বার বার পিছিয়ে যাচ্ছিল জোট সম্ভাবনা। অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটল। তামিলনাড়ুর বিধানসভা ভোটের আগে আবার জোট বাঁধল বিজেপি এবং প্রধান বিরোধী দল এডিএমকে! শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই জোটের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি যখন এই ঘোষণা করেন, তখন মঞ্চে তাঁর পাশে ছিলেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এডিএমকে প্রধান ইকে পলানীস্বামী এবং প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি কে অন্নামলাই। উল্লেখ্য, ২০২৬ সালেই তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন।
শাহ জানান, তামিলনাড়ুতে পলানীস্বামী এবং এডিএমকে-র নেতৃত্বে নির্বাচন লড়বে এনডিএ। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এডিএমকে ১৯৯৮ সাল থেকে এনডিএ-র অংশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা অতীতে একসঙ্গে কাজ করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-ই জিতবে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের জোট অনেক শক্তিশালী। আমি সম্পূর্ণ রূপে আত্মবিশ্বাসী যে এনডিএ বড় জয় পাবে এবং সরকার গড়বে।’’
বিধানসভা নির্বাচনে তামিলনাড়ুতে এনডিএ-কে নেতৃত্ব দেবেন পলানীস্বামীই! শুক্রবারের মঞ্চ থেকে এমনই ঘোষণা করেন শাহ। অনেকের মতে, প্রকাশ্যে এখনই না বললেও পলানীস্বামীকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে লড়বে এনডিএ। অর্থাৎ, তামিলনাড়ুতে এনডিএ-তে প্রাধান্য পাবে এডিএমকে।
একই সঙ্গে তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকারকে নিশানা করেছেন শাহ। তিনি বলেন, ‘‘আগামী দিনে রাজ্যবাসী দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলার সমস্যা এবং নারী ও দলিতদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। ডিএমকে সরকার অনেক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। (এমকে) স্ট্যালিন এবং উদয়নিধি (স্ট্যালিন)-কে জবাব দিতে হবে।’’
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এনডিএ ছেড়েছিলেন পলানীস্বামী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে অন্নামলাইয়ের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সংঘাত এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিল বলে দলের একটি সূত্র দাবি করেছিল।
গত বছর লোকসভা ভোটের আগে পলানীস্বামীর দলকে এনডিএ-তে ফেরানোর লক্ষ্যে এডিএমকে-এর সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেই একঝাঁক নেতা এডিএমকে ছেড়ে বিজেপিতে গেলে নতুন করে টানাপড়েন তৈরি হয়। লোকসভা ভোটে আলাদা ভাবে স্থানীয় কয়েকটি দলের সঙ্গে সমঝোতা করে লড়েছিল এডিএমকে এবং বিজেপি। বহিষ্কৃত এডিএমকে নেতা তথা তামিলনাড়ুর আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পন্নীরসেলভম হাত মেলান বিজেপির সঙ্গে। কিন্তু সে রাজ্যের ৩৯টি লোকসভা আসনই জিতে নেয় ডিএমকে-কংগ্রেস-বামেদের জোট। সেই ফলাফল থেকে শিক্ষা নিয়েই আবার পাশাপাশি এল এডিএমকে এবং বিজেপি।