প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ওয়াকফ আইনে সংশোধন করলেও তা মানবে না কর্নাটক! মঙ্গলবার সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার বিধানসভায় এই মর্মে একটি প্রস্তাব পাশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিধায়কেরা।
বুধবার প্রস্তাব পেশের গোড়াতেই বিজেপি বিধায়কেরা প্রতিবাদে স্লোগান শুরু করেন। তারই মধ্যে কর্নাটকের আইন এবং পরিষদীয় মন্ত্রী এইচকে পাটিল প্রস্তাবটি পেশ করেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘এই সভা সর্বসম্মতিক্রমে কেন্দ্রীয় সরকারকে দেশের সকলের মতামতকে সম্মান করে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৪ প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছে। এই সংশোধনী ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক নীতির পরিপন্থী।’’
বিরোধী সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করেই গত ৩০ ডিসেম্বর ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের নতুন খসড়া অনুমোদন করেছিল যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)। এর পরে সেই খসড়ায় প্রস্তাবিত ১৪টি সংশোধনী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদিত হয়। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে অভিযোগ করেন, জেপিসির বিরোধী সদস্যেরা ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের বিভিন্ন ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ‘নোট অফ ডিসেন্ট’ জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু রিপোর্ট থেকে সেগুলি মুছে ফেলা হয়েছে।
যদিও সংসদীয় ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সেই অভিযোগ উড়িয়ে বলেছিলেন, ‘‘এমন কিছুই হয়নি।’’ কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, ৪৪টি সংশোধনী এনে ওয়াকফ বোর্ডের উপর সরকারি কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সংসদের দুই কক্ষে পাশ হওয়ার পরে ওই বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিললে ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের নতুন নাম হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’।