তিরুমালা তিরুপতি মন্দির। ফাইল চিত্র।
আবারও প্রসাদ বিতর্কে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দির। প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিতর্ক চলছে। সেই বিতর্কের মধ্যেই এ বার প্রসাদ নিয়েই অভিযোগ তুললেন পুণ্যার্থীরা। তবে লাড্ডু নয়, মন্দিরে পরিবেশিত প্রসাদ নিয়েই অভিযোগ উঠেছে।
এ বারের প্রসাদ বিতর্কটি কী? পুণ্যার্থীদের অভিযোগ, মন্দিরে পরিবেশিত প্রসাদে পোকা মিলেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মন্দির কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনিতেই প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে বিতর্কের জেরে মন্দির কর্তৃপক্ষ নাজেহাল। তার মধ্যে আবার নতুন করে বিতর্ক মাথাচাড়া দিতেই তৎপর কর্তৃপক্ষ। যদিও তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (টিটিডি)-এর দাবি, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। প্রসাদে কোনও পোকাও মেলেনি।
মন্দির কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি যেন বিতর্কে আরও ঘি ঢেলেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি বুধবারের। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুণ্যার্থীর অভিযোগ, মন্দিরে পরিবেশিত প্রসাদে তিনি পোকা পেয়েছেন। তিনি শুধু একা নন, এমন অভিযোগ তুলেছেন অনেক পুণ্যার্থীই। এই ঘটনার জন্য যে বা যাঁরা দায়ী, তাঁর বা তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার দাবি উঠেছে পুণ্যার্থীদের তরফে।
এক পুণ্যার্থী জানান, তিনি ওয়ারাঙ্গল থেকে তিরুপতিতে পুজো দিতে এসেছিলেন। অভিযোগ, মন্দিরের পরিবেশিত মধ্যাহ্নভোজে দেওয়া খাবারের মধ্যে পোকা দেখতে পান। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ মন্দিরের কর্মীদের জানান। কিন্তু বিষয়টি তাঁরা উপেক্ষা করে জানিয়ে দেন, ‘এ রকম হতেই পারে!’ তার পরই ওই পুণ্যার্থী ছবি তুলে বিষয়টি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন। (যদিও সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।) শুধু তা-ই নয়, ওই পুণ্যার্থী অভিযোগ করায়, তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রসাদে পোকা মেলার অভিযোগ তুলেছেন আরও অনেক পুণ্যার্থী।
বিষয়টি নিয়ে যখন শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে, মন্দির কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করে পাল্টা দাবি করেছেন, এটি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন’। এ প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষের সাফাই, প্রতি দিন হাজার হাজার পুণ্যার্থী মন্দিরে খান। খাবারে পোকা পড়েছে, এটা চোখে পড়বে না? তাঁদের পাল্টা দাবি, মন্দিরকে কলুষিত করার জন্য একটা চক্রান্ত চলছে। পুণ্যার্থীদের ভাবাবেগে আঘাত করার প্রচেষ্টা চলছে। তাই পুণ্যার্থীদের কাছে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘আপনারা এই ধরনের মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন খবরে গা ভাসিয়ে দেবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy