ছবি: সংগৃহীত।
একে-৪৭-এর উন্নততর সংস্করণ বানাবে উত্তরপ্রদেশের অমেঠী। রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তায় সেখানে তৈরি হবে একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল। মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আনুষ্ঠানিক ভাবে কালাশনিকভ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল প্রস্তুতকারী রুশ সংস্থার সঙ্গে চুক্তিকে ছাড়পত্র দিয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, আগামী বছরের গোড়াতেই সেখানে শুরু হবে উৎপাদন।
দেশে তৈরি ইনসাস রাইফেলের বদলে সেনার পদাতিক ব্যাটেলনিয়নগুলি এবং রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের অস্ত্র হিসেবে একে-২০৩ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ব্যবহৃত হবে। ৫.৫৬ মিলিমিটারের ইনসাসের তুলনায় একে সিরিজের ৭.৬২ মিলিমিটার কার্তুজ অনেক বেশি প্রাণঘাতী। কার্যকরী পাল্লাও বেশি। চিরাচরিত রুশ একে-৪৭-এর মূল নকশার উপর সময়োপযোগী করে আধুনিকীকরণ করা হয়েছে ওই রাইফেলের মডেলে। অত্যাধুনিক ওই রাইফেল থেকে মিনিটে প্রায় ৬০০ রাউন্ড গুলি ছোড়া সম্ভব।
ভারতের অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড এবং রুশ সংস্থার ৫,০০০ কোটি টাকার চুক্তি অনুযায়ী অমেঠীর নয়া কারখানায় আগামী ৩২ মাসে প্রাথমিক ভাবে ৬ লক্ষ ১ হাজার ৪২৭টি একে-২০৩ তৈরি করা হবে। এর মধ্যে প্রথম ৭০ হাজারটিতে কেবলমাত্র রাশিয়ায় তৈরি যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হবে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ডিসেম্বর ভারত সফরে আসছেন। তার আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই ছাড়পত্র দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের রাশিয়া সফরের সময় গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক চুক্তি সই হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী রুশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ দেশের অস্ত্র কারখানাতেই কালাশনিকভ রাইফেলের সর্বাধুনিক মডেল বানানোর অনুমতি পায় ভারত। ২০১৯-এর মার্চে অমেঠীর করওয়ার অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে একে-২০৩ রাইফেল উৎপাদন প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy