প্রতীকী ছবি।
গাড়িতে চালকের পাশের আসনেও এয়ারব্যাগ আবশ্যিক করার কথা ভাবছে ভারত সরকার। অন্তত তেমনটাই দাবি করা হয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে।
চালকের আসনে এয়ারব্যাগ এখন ভারতে সব গাড়িতে আবশ্যিক। কিন্তু দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে চালকের পাশের আসনের যাত্রীরও বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। ফলে সব গাড়িতেই ওই আসনেও এয়ারব্যাগ আবশ্যিক করার কথা ভাবছে সরকার। সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের জন্য গাড়ির সুরক্ষা বিধি (অটোমোটিভ সেফ্টি স্ট্যান্ডার্ড) সংশোধন করতে খসড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। সুরক্ষা সংক্রান্ত শীর্ষ কারিগরি কমিটিও এতে ছাড়পত্র দিয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্তার কথায়, ‘‘সারা বিশ্বেই দুর্ঘটনার সময়ে যাত্রীদের রক্ষা করার জন্য গাড়িতে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরাও এই বিষয়ে কোনও ঝুঁকি নেব না। তাতে খরচ বাড়লেও অন্য পথ নেই।’’ কবে সুরক্ষা সংক্রান্ত নতুন বিধি চালু হবে তা স্থির করছে পরিবহণ মন্ত্রক। সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, এক বছর সময় দিলেই গাড়ি সংস্থাগুলি এই বিধি কার্যকর করতে পারবে বলে ধারণা মন্ত্রকের। বর্তমানে চালকের আসনে এয়ারব্যাগ ছাড়া স্পিড অ্যালার্ট, রিভার্স পার্কিং সেন্সর ও সিটবেল্ট রিমাইন্ডারের মতো সুরক্ষা ব্যবস্থা সব গাড়িতে আবশ্যিক।
প্রাক্তন কার র্যালিস্ট আশিস বাগচির মতে, চালকের পাশের আসনে এয়ারব্যাগ আগেই আবশ্যিক করা উচিত ছিল। কারণ, ওই আসনেও ঝুঁকি বেশি থাকে। তাঁর মতে, পিছনের আসনের যাত্রীদের সিটবেল্ট পরাও আবশ্যিক হওয়া উচিত। আশিসবাবুর বক্তব্য, ‘‘ঝাড়খণ্ডের কোডারমায় সব নিয়ম ভেঙে ধেয়ে এসেছি্ল একটা লরি। কেবল সিটবেল্ট পরা ছিল বলেই হয়তো সে যাত্রা প্রাণে বেঁচে যাই।’’ আশিসবাবু জানাচ্ছেন, গাড়ির দরজার ‘ডোরপ্যাড’-এ ‘সাইড ইমপ্যাক্ট বিম’-ও এখন কেবল দামি গাড়িতেই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু পাশ থেকে ধাক্কা লাগলে যাত্রীদের বাঁচাতে এই ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। আর এক প্রাক্তন কার র্যালিস্ট সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, গাড়ি চালানো শেখানোর সময়েও সুরক্ষা সংক্রান্ত নিয়মকানুনে জোর দেওয়া উচিত। তাতেও ঝুঁকি কমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy