—ফাইল চিত্র।
এয়ার ইন্ডিয়ার এক সিনিয়র কমান্ডার পাইলটের বিরুদ্ধে বিদেশের বিমানবন্দরের ডিউটি ফ্রি শপ থেকে লুকিয়ে জিনিসপত্র তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগে ক্যাপ্টেন রোহিত ভসীন নামে ওই পাইলটকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রোহিতের দাবি, তিনি নির্দোষ।
আড়াই বছর ধরে এয়ার ইন্ডিয়ার পূর্বাঞ্চলের রিজিওনাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন রোহিত। সেই পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে সঞ্জয় শর্মাকে দায়িত্বদেওয়া হয়েছে। সংস্থার ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার জন্য কর্মীদের একাংশ যখন প্রাণপাত করে যাচ্ছেন, সেই সময় এই ধরনের অভিযোগ বড় ধাক্কা। কিছু দিন আগেই সংস্থার ডিরেক্টর (অপারেশন)-এর পদে থাকা সিনিয়র পাইলট অরবিন্দ কাঠপালিয়া মদ্যপান করে বিমানে ওঠার অভিযোগে সাসপেন্ড হন। পাইলটদের এ-হেন কার্যকলাপ নিয়ে দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। এ বারের অভিযোগ গুরুতর!
এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রের খবর, শনিবার বিমান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে দিল্লি ফেরার কথা ছিল রোহিতের। তার আগে সিডনি বিমানবন্দরের ডিউটি ফ্রি শপে তাঁকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। ডিউটি ফ্রি শপ থেকে জিনিস কিনে ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে দাম মিটিয়ে বেরিয়ে যাওয়াটাই দস্তুর। অভিযোগ, রোহিত সামগ্রী বেছে নিলেও দাম না-মিটিয়ে বেরিয়ে যান। সেই ছবি ধরা পড়ে বিমানবন্দরের সিসি ক্যামেরায়। সিডনি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেই ছবি ও প্রমাণ-সহ বিষয়টি এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষকে জানান। রোহিত বিমান নিয়ে দিল্লিতে নামার পরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। রোহিত ঠিক কী সামগ্রী তুলেছিলেন, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। একটি নামী সংস্থার তৈরি ওয়ালেট তোলার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। রোহিতের বাবাও ছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট। রোহিতের স্ত্রী-পুত্রও পাইলট। রোহিত মাসে প্রায় সাত লক্ষ টাকা বেতন পান। তিনি এমন কাণ্ড কেন করলেন, সেই বিষয়ে সকলেই অন্ধকারে।
রোহিত রবিবার ফোনে বলেন, ‘‘আমি নির্দোষ। বিমানবন্দরে একটি নামী সংস্থার বিপণি থেকে জ্যাকেট কিনতে গিয়ে একটি চামড়ার কার্ড হোল্ডারও পছন্দ হয়। বিল করতে বলি। ওরা শুধু জ্যাকেটের বিল করে। আমি খেয়াল করিনি। সেই সময় স্ত্রীর ফোনে জানান, আমার নাতি হয়েছে। ভীষণ উত্তেজিত ছিলাম। কার্ড হোল্ডারের যে বিল হয়নি, তা খেয়াল না-করে দু’টি জিনিসই নিয়ে চলে আসি। পরে নিরাপত্তারক্ষী এসে আমার কাছ থেকে এই কার্ড হোল্ডার ফিরিয়ে নিয়ে যান। তার পরেও কেন এমন করা হল, বলতে পারব না।’’
এয়ার ইন্ডিয়া বিষয়টি তদন্ত কমিটি গড়েছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত রোহিতকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া তিনি সংস্থার কোনও দফতরে ঢুকতে পারবেন না। লিখিত অনুমতি ছাড়া কলকাতা ছাড়তে পারবেন না। বেতনের একটি অংশ ছাড়া বাকি অংশও তিনি পাবেন না। কলকাতায় তাঁর পরিচয়পত্র জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy