Advertisement
E-Paper

আস্থাভোটের আগে কড়া পাহারায় জয়পুর থেকে ভোপাল ফিরলেন কংগ্রেস বিধায়করা

গত সপ্তাহে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে ইস্তফা পাঠান তাঁর অনুগামী ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক।

ভোপাল বিমানবন্দরে কংগ্রেস বিধায়করা। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

ভোপাল বিমানবন্দরে কংগ্রেস বিধায়করা। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২০ ১৬:৩৬
Share
Save

আস্থাভোট সোমবার। তার ঠিক আগে রবিবার সকালে রাজস্থানের ‘সেফ হাউজ’ থেকে ভোপালে ফিরলেন মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের ৮০ জনবিধায়ক। দলীয় বিধায়কদের যাতে বিজেপি হাইজ্যাক করতে না পারে, তার জন্যগোটা বিমানবন্দর চত্বর জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছিল মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার। দলীয় বিধায়করা ভোপালের মাটিতে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কড়া পাহারায় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ম্যারিয়ট হোটেলে। জয়পুরের রিসর্ট থেকে ভোপালের হোটেলে চেক-ইন পর্যন্ত পুরো রাস্তা বিধায়কদের দলকে এসকর্ট করেছেন মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা হরিশ রাওয়াত।

গত সপ্তাহে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে ইস্তফা পাঠান তাঁর অনুগামী ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক। ফলে বিধানসভায় সংখ্যালঘু হয়ে যায় কংগ্রেস সরকার। বিজেপির তরফ থেকে দাবি ওঠে আস্থা ভোটের। দল-ভাঙানোর আশঙ্কা রুখতে শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা রাতারাতি দলীয় বিধায়কদের নিয়ে পৌঁছন কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের একটি রিসর্টে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত থেকে শুরু করে মুকুল ওয়াসনিকের মতো নেতাদের কড়া নজরদারিতে রাখা হয় কংগ্রেস বিধায়কদের। অন্যদিকে কংগ্রেসের ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের বিজেপি বেঙ্গালুরু নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই দড়ি টানাটানির মধ্যেই মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ নর্মদাপ্রসাদ প্রজাপতি বিদ্রোহী ৬ মন্ত্রীর ইস্তফা গ্রহণ করলে রাজ্যপাল লালজি টন্ডন সোমবার আস্থা ভোটের নির্দেশ দেন।

২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় মোট বিধায়ক সংখ্যা ২২৮। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১১৫ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার কোনও দলের। চার নির্দল বিধায়ক, দুই বহুজন সমাজ পার্টি-র বিধায়ক এবং এক জন সমাজবাদী পার্টিরবিধায়কের সমর্থনে এত দিন সেখানে ১২১টি আসন ছিল কংগ্রেসের দখলে। ২২ জন বিদ্রোহী বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার পর তাদের আসনসংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৯৯-তে। নির্দল, বসপা এবং সপার তরফে সমর্থন তুলে নিলে সে ক্ষেত্রে তাদের পক্ষে থাকা বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়াবে ৯১-তে। সে ক্ষেত্রে বিধানসভার ম্যাজিক সংখ্যা এসে ঠেকবে ১০৪-এ। বিজেপির কাছে যেহেতু ১০৭ জন বিধায়ক রয়েছে, তাই আস্থাভোট হলে তাদের জয়লাভে কোনও বাধা থাকবে না।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশের পর গুজরাত, রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে ইস্তফা ৫ কংগ্রেস বিধায়কের​

আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসকে রোখাই প্রথম কর্তব্য, পুরভোট পরেও হতে পারে, বলছেন চিকিৎসকরা​

কিন্তু রবিবারও মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, তাঁরা আস্থাভোটে জয়লাভ করবেন। হরিশ রাওয়াত এ দিন ভোপাল বিমানবন্দরে বলেন, “আস্থা ভোটের জন্য আমরা প্রস্তুত। এমনকি বিদ্রোহী বিধায়কদের অনেকের সঙ্গেই আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।” রাজ্যের মন্ত্রী কান্তিলাল ভুরিয়ার পাল্টা দাবি, “বিজেপির কমপক্ষে ৬ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমরা নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত ভাবে প্রমাণ করব।”

ফলে রবিবার বিকেল থেকে আস্থাভোট হওয়া পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের কুর্সি দখলকে কেন্দ্র করে নাটক আরও জমে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের একটি সূত্রে খবর, সোমবার আস্থাভোট এড়ানো যায় কী ভাবে তা নিয়েও দফায় দফায় বৈঠক করছেন শীর্ষ নেতারা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কমলনাথকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আইনি সংস্থানও খতিয়ে দেখছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।

Madhya Pradesh Congress Jyotiraditya Scindia BJP

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}