প্রতীকী চিত্র।
করোনা অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে উত্তরপ্রদেশের মানুষের অসহায়তা ও প্রশাসনের ব্যর্থতা ফুটে উঠেছিল গঙ্গায় একের পর এক মৃতদেহ ভেসে আসার ঘটনায়। বহু পরিবার শুধু মাত্র শ্মশান খরচ বাঁচাতে প্রিয়জনদের দেহ গঙ্গার পাড়ে পুঁতে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি বর্ষা আসায় গঙ্গার জলে স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যায়। ফলে, মাটি ধুয়ে সেই দেহগুলি আবার ভেসে গেল গঙ্গায়। একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গঙ্গার দু’পার ধরে অগুনতি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। কোনও কোনওটি জলে ভাসতে শুরু করেছে আবার। তীরের লম্বা জলজ ঘাসে জড়িয়ে থাকা বা ইতস্তত ভেসে থাকা এই মৃতদেহগুলি যেন সাক্ষী দেয় গত এপ্রিল ও মে মাসে হাসপাতাল ও শ্মশানের চরম অব্যবস্থার কথা।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় প্রায় ৬০০ জন মানুষকে নদীর ধারে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। যদিও স্থানীয় মানুষের দাবি, সংখ্যাটি আরও অনেক বেশি।স্থানীয় শ্মশানের নৌকোর মাঝি জানিয়েছেন, অতিমারির সময় শ্মশানের খরচ বেড়ে ৭০০০ টাকারও বেশি হয়েছিল। ফলে, তা ছিল অনেকেরই সামর্থ্যের বাইরে। ফলে এখন নদীতে নৌকো চালানোর সময় তাঁর ভয় হয় যে, তাঁর দাঁড়ে হয়তো কোনও মৃতদেহ এসে ঠেকবে।
এ দিকে, নদীতে ক্রমাগত ভাসমান দেহ নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। তাঁদের দাবি, দেহগুলিতে পচন ধরেছে, ফলে জল বিষাক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। করোনার পর এ বার অন্য রকম সংক্রমণের ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের উচ্চ আদালতে একাধিক জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, খুব দ্রুতই নদী থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে সম্মানের সঙ্গে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy