ঘর বন্ধ করে বেল্ট দিয়ে পেটানো হয় পরিচারিকাকে বলে অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
আবার নজরে উত্তরপ্রদেশের ললিতপুর জেলা। ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে আসা নাবালিকাকে থানার ভিতর যৌন নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এ বার পরিচারিকাকে নির্মম ভাবে মারধর করার দায়ে সাসপেন্ড হলেন দুই পুলিশ আধিকারিক। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক জন মহিলা সাব-ইন্সপেক্টরও।
ললিতপুর জেলার মেহরাউনি এলাকায় সরকারি বাসভবনে এক পরিচারিকাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে এক কনস্টেবল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দিন কয়েক আগে চুরির সন্দেহে কনস্টেবল অংশু পটেল ও তাঁর স্ত্রী ওই পরিচারিকাকে মারধর করেন। ছাড় পাননি পরিচারিকার স্বামীও। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এর পর কোতয়ালি থানায় ওই পরিচারিকাকে নিয়ে যান কনস্টেবল অংশু। সেখানে আর এক দফা মারধর চলে। আর তাতে যোগ দেন এক মহিলা সাব-ইন্সপেক্টরও।
সূত্রের খবর, এই ঘটনাটি গত ২ মে ঘটেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত বুধবার নির্যাতিতার পরিচারিকার আত্মীয় থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পরে অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর ও কনস্টেবলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। তার পরেই তাঁদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সে দিনের ঘটনার কথা বলতে গিয়ে ওই পরিচারিকা জানান, ২ পুলিশ মিলে তাঁকে ঘর বন্ধ করে বেধড়ক পেটান। তাঁর কান্না যাতে বাইরে না শোনা যায়, তার জন্য কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে দেওয়া হয়। এর পর চলে বেল্ট দিয়ে মার!
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ললিতপুরেই। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, তিন দিন ধরে চার ব্যক্তি ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। সেই অভিযোগ জানাতেই থানায় এসেছিল সে। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে তিলকধারী সরোজ নামে ওই পুলিশ আধিকারিককে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy