নতুন জায়গা চিতাদের থাকার যোগ্য কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসছে বিশেষজ্ঞ দল। — ফাইল চিত্র।
মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানের পর ভারতে দ্বিতীয় ঘর পেতে চলেছে চিতারা। ওই রাজ্যেরই গান্ধীসাগর বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্র নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। সেই জায়গা চিতাদের থাকার যোগ্য কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসছে বিশেষজ্ঞ দল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞেরা। ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতে আসবে দলটি।
জানুয়ারি মাসে সাত শাবকের জন্ম দিয়েছে দুই মা-চিতা। বন দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, আবহাওয়ার উন্নতি হলে ওই দুই চিতাকে বড় পরিসরের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। তাঁরাই গান্ধীসাগর বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শনে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই জায়গা উপযুক্ত মনে করলে তবেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও কয়েকটি চিতা আনানো হবে। এর আগে পিটিআইকে পরিবেশ মন্ত্রকের বন বিভাগের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল এসপি যাদব জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শীঘ্রই আরও কিছু টিতা আনা হবে। সেগুলি গান্ধী সাগর বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হবে।
বন দফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে, গান্ধীসাগর বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্রকে চিতাদের থাকার জন্য উপযুক্ত করে তোলার কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। কুনো থেকে এই কেন্দ্রে গাড়িতে চেপে যেতে ছ’ঘণ্টা সময় লাগবে। ৩৬৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি করা হচ্ছে চিতাদের বাসস্থল। সেই এলাকাকে ঘিরে রাখবে অতিরিক্ত ২,৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা।
নামিবিয়া থেকে এসেছিল জোয়ালা। সে গত ২০ জানুয়ারি চারটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। তার আগে জানুয়ারিতেই নামিবিয়া থেকে আনা আর এক চিতা আশা তিন শাবকের জন্ম দিয়েছে। গত মার্চেও চার শাবকের জন্ম দিয়েছিল জোয়ালা। তিনটি প্রচণ্ড গরমে মারা গিয়েছিল। একটি বেঁচে রয়েছে। আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে, কুনো জাতীয় উদ্যানে ঠান্ডা একটু কমলে শাবক-সহ মায়েদের খোলা জায়গায় ছাড়া হবে। এখন কুনোয় চিতার মোট সংখ্যা ২১। তাদের মধ্যে ছ’টি পুরুষ, সাতটি স্ত্রী এবং আটটি শাবক। গত মার্চ থেকে সাটি চিতা মারা গিয়েছে কুনোয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy