প্রতীকী ছবি।
এ বার অসমেও খোঁজ মিলল আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের। ডিব্রুগড়ের ভোগালি পাথার গ্রামে একটি শূকরের শরীরে এই ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। যার জেরে শনিবার ওই এলাকার চার পাশের প্রায় তিন বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি পরিধিকে সংক্রমিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি, যেহেতু এই রোগের কোনও ওষুধ নেই তাই ওই নির্দিষ্ট এলাকার সমস্ত শূকরকেই হত্যা করে মাটির নীচে চাপা দেওয়া হয়েছে যাতে সংক্রমণ আর না ছড়াতে পারে।
গত কয়েক দিন ধরেই মিজোরাম, সিকিম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড এবং বিহারে আফ্রিকান সোয়াইন জ্বরের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। শূকরদের এই রোগের ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা রয়েছে। তা ছাড়া এটি দ্রুত সংক্রামক। এখনও পর্যন্ত এই রোগের কোনও ওষুধ বা প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। তবে এই রোগ শূকরদের শরীর থেকে মানবদেহে ছড়াতে পারে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কেন্দ্র অবশ্য কোনও ঝুঁকি না নিয়ে এই সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদের শূকরের মাংস খেতে নিষেধ করেছে। জারি করা হয়েছে ‘আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার অ্যাকশন প্ল্যান’।
রোগ প্রতিরোধে অসমের ডিব্রুগড়েও স্থানীয় পশুপালন অধিকর্তা ড. হিমান্দু বিকাশ বড়ুয়া জানিয়েছেন, ৩.১৪ বর্গ কিলোমিটার পরিধির সমস্ত শূকর নিধনের পাশাপাশি এলাকাটি স্যানিটাইজ করা হয়েছে। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই দেশের আক্রান্ত রাজ্যগুলির জেলায় জেলায় পশুপালন অধিকর্তাদের সতর্ক করেছেন। নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। বিশেষ করে শূকর পালনকারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একটিও জ্বর বা জ্বর থেকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে সে ব্যাপারে অবিলম্বে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy