ফাইল চিত্র।
অধিকার রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম মুখ স্ট্যান স্বামী প্রয়াত। বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। রবিবার রাত থেকে তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়। গত ২৮ মে আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয় মুম্বইয়ের হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে গ্রেফতার হওয়া স্ট্যানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর আত্মীয় পরিজনেরা সরব হচ্ছিলেন। জেলে ক্রমে স্ট্যানের শরীর আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে, এমনও বলেছিলেন অনেকে। তারপরেই আদালত তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
সুধা ভরদ্বাজ-সহ বেশ কয়েকজন বন্দিমুক্তির দাবিতে যে আন্দোলন তৈরি করেন, স্ট্যান তাঁর অংশ ছিলেন বলেও অভিযোগ করা হয়। পাশাপাশি, ভীমা কোরেগাঁও মামলায় নাম জড়ায় স্ট্যানের। ২০২০ সালে ৮ অক্টোবর এনআইএ গ্রেফতার করে স্ট্যান স্বামীকে। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে অভিযোগ আনা হয়। গ্রেফতারির প্রতিবাদ করে একাধিক বামপন্থী সংগঠন, কংগ্রেসও। স্ট্যানের মুক্তি চেয়ে চিঠিতে সই করেন শশী তারুর, সীতারাম ইয়েচুরিরা। কিন্তু জেলে স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে স্ট্যানের।
স্ট্যানের পারকিনসন্স-সহ একাধিক রোগ ছিল। জেলে একাধিক বার তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। কানে শুনতে পেতেন না একটা সময়, অস্ত্রোপচারও হয়। এই বছর ১৮ মে মুম্বই হাই কোর্টে বলা হয়, স্ট্যান গুরুতর অসুস্থ। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ কমিটি। মে মাসে তাঁর করোনা ধরে পড়ে। শেষে ৪ জুলাই তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে দেওয়া হয়। পরের দিন ৫ জুলাই জনজাতির অধিকার রক্ষার আন্দোলনের এক অন্যতম মুখ স্ট্যান স্বামী বেলা দেড়টা নাগাদ প্রয়াত হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy