অভিযুক্ত যুবক বিজেপির সদস্য। তাই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছে দিল্লি পুলিশ। বর্ষবরণের রাতে দিল্লির সুলতানপুরীতে তরুণীর স্কুটিতে ধাক্কা মারার পর সেই গাড়িই টেনেহিঁচড়ে তরুণীকে নিয়ে যায় বহুদূর। তরুণীকে বাঁচানো যায়নি। ঘাতক গাড়িকে আটক করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করে ফেলেছে পুলিশ। এই প্রেক্ষিতে আপের অভিযোগ, অভিযুক্ত বিজেপি সদস্য। তাই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া পুলিশ।
সুলতানপুরীর ঘটনা নিয়ে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ। তাঁর দাবি, ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত মনোজ মিত্তল বিজেপি সদস্য এবং তাঁকে বাঁচাতে লেফটেন্যান্ট গভর্নর (এলজি) ভিকে সাক্সেনা থেকে শুরু করে দিল্লি পুলিশের তাবড় আধিকারিক মরিয়া হয়ে উঠেছেন। নিজের কথার স্বপক্ষে সৌরভ একটি ছবি দেখান। যে ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি রাজনৈতিক পোস্টার। যা লাগানো আছে মঙ্গলপুরী থানার ঠিক পাশে। ঘটনাচক্রে, মঙ্গলপুরী থানাতেই মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে। পোস্টারে বিজেপি নেতা মনোজ মিত্তলের ছবি বলে দাবি করেন আপ নেতা।
আপের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিল্লি বিজেপির নেতা হরিশ খুরানার দাবি, অভিযুক্ত যখন গ্রেফতার হয়েছেন, তখন পুলিশের উপর ভরসা রাখাই ভাল। তিনি বলেন, ‘‘এখানে রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই। দোষ করলে শাস্তি হবে।’’
আপ একই সঙ্গে নিশানা করেছে এলজি ভিকে সাক্সেনাকেও। তাঁর দ্রুত অপসারণ দাবি করে সৌরভ বলেন, ‘‘তিনি দিল্লিকে কিছুই চেনেন না। আমি যদি তাঁকে সুলতানপুরীতে ছেড়ে দিই এবং বলি নজফগড় কোন দিকে, তা হলে তার কোনও উত্তর তিনি দিতে পারবেন না।’’ আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল বলেন, ‘‘এক তরুণী গাড়ির তলায় আটকে যাওয়ার পর একদল লোক যে ভাবে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান এবং তাতে তরুণীর মৃত্যু হয়, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমি দাবি করছি, অভিযুক্তদের যেন চরমতম দণ্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এটা প্রকৃতই বিরলের মধ্যে বিরল অপরাধ।’’
Delhi | It's an unfortunate incident that a group of men dragged a woman under their car and she died. I appeal that all the accused should be given stringent punishment & be hanged. It's rarest of rare crimes: Delhi CM Arvind Kejriwal on Khanjawala hit and run case pic.twitter.com/e4X1YmjJAv
— ANI (@ANI) January 2, 2023
দিল্লি পুলিশকেও একহাত নিয়েছে আপ। সৌরভের অভিযোগ, যে ব্যক্তি প্রথম ঘটনার খবর দেন পুলিশকে, তাঁকে একটানা ২২ বার ফোন করতে হয়েছিল। তার পরে দিল্লি পুলিশ ফোন ধরে এবং বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারে। প্রসঙ্গত, দিল্লি পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তা নিয়ে কেজরীওয়ালের সরকারের সঙ্গে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বন্দ্ব লেগেই আছে। সুলতানপুরীর ঘটনার প্রেক্ষিতে আরও এক বার তা প্রকাশ্যে চলে এল।