অতিশী মারলেনা। — ফাইল চিত্র।
বিজেপির বিরুদ্ধে আপ বিধায়কদের ‘কেনার চেষ্টা’র অভিযোগ তুলেছিলেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং অতিশী মারলেনা। সেই অভিযোগের বিরুদ্ধেই মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা। সেই মামলাতেই অতিশীকে সমন পাঠাল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। বুধবারই তাঁকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কী নিয়ে বিতর্ক? কেজরীওয়ালের অভিযোগ ছিল, আপের বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার একটা চক্রান্ত করছে বিজেপি। গত জানুয়ারি মাসে নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আমাদের সাত বিধায়কের সঙ্গে গত কয়েক দিন ধরে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আমাদের বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা চলছে। ২১ বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিজেপি। আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলেছে। দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার ফেলে দেওয়া চেষ্টা চলছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে সাত জন বিধায়কের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সকলেই তা অস্বীকার করেছেন।”
কেজরীর আরও অভিযোগ ছিল, দল ছাড়ার মূল্য হিসাবে এক এক জন বিধায়ককে ২৫ কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে বিজেপি। শুধু আপ প্রধান কেজরীই নন, তাঁর সরকারের মন্ত্রী অতিশীও একই অভিযোগ তোলেন। সাংবাদিক বৈঠকে অতিশী দাবি করেন, দিল্লিতে ‘অপারেশন লোটাস ২.০’ চেষ্টা করছে বিজেপি। গত বারের মতো এ বারও আপ বিধায়কদের কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
কেজরী এবং অতিশীর এই অভিযোগের পরই তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশে একটি অভিযোগ করেছিল বিজেপি। তার পর বিজেপি নেতা প্রবীণশঙ্কর কপূর মানহানি মামলা করেছিলেন আদালতে। তাঁর অভিযোগ ছিল, কেজরী এবং তাঁর সঙ্গীরা মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। এতে নিচুতলার বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। শুধু তা-ই নয়, সাধারণ জনগণের মধ্যে বিজেপি এবং তার কর্মীদের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টায় এই সব ভুল কথা বলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই মানহানি মামলায় কেজরীওয়ালের নামও উল্লেখ করেছিলেন প্রবীণশঙ্কর। তবে আদালত শুধু অতিশীকেই সমন পাঠাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy