দিল্লির বিধানসভায় আম আদমি পার্টি (আপ)-কে এ বার বসতে হবে বিরোধীদের আসনে। এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকার পর বিরোধী হিসাবে কী ভূমিকা থাকবে দলের, তা নিয়ে রবিবার আলোচনায় বসলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। এ বারের ভোটে পরাস্ত হয়েছেন কেজরী। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াও পরাজিত হয়েছেন। দিল্লির ৭০ আসনের মধ্যে আপের মুখ রক্ষা করেছেন আতিশী মারলেনা-সহ ২২ প্রার্থী। রবিবার দলের জয়ী ২২ প্রার্থীকে নিয়ে দিল্লির ফিরোজ় শাহ রোডের ধারে নিজ বাসভবনে বৈঠক করলেন আপ প্রধান।
কেজরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে দিল্লির সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আতিশী জানান, বিরোধী হিসাবে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে আপ। ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি বিজেপি যাতে পূরণ করে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে কেজরীওয়ালের দল। তিনি বলেন, “বিজেপি প্রতিশ্রুতি মতো ৮ মার্চের মধ্যে মহিলাদের মাসে ২৫০০ টাকা করে দেওয়া শুরু করল কি না, ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দিচ্ছে কি না, সেগুলি দেখবে আপ।” দিল্লির সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করার এবং তাঁদের সমস্যার সমাধান করার জন্যও জয়ী ২২ জন দলীয় প্রার্থীকে পরামর্শ দিয়েছেন কেজরী।
আরও পড়ুন:
আপ সরকার গত ১০ বছরে দিল্লিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনামূল্যে সরকারি পরিষেবা দিয়ে এসেছে। দিল্লিবাসীর জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত বিদ্যুৎ, জল বিনামূল্যে দিয়ে এসেছে আপের সরকার। দিল্লির সরকারি বাসে মহিলাদেরও বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়া হয়। আতিশীদের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ, বিজেপি ক্ষমতা এসে যাতে সেগুলি বন্ধ করতে না-পারে। রবিবার কেজরীর সঙ্গে বৈঠকে সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন:
আগামী দিনে দিল্লির বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা কে হবেন, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পরবর্তী সময়ে পরিষদীয় দলের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। বস্তুত, এ বারের নির্বাচনে দিল্লিতে দৃশ্যত ভরাডুবি হয়েছে আপের। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৬২টি আসন জিতে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল কেজরীওয়ালের দল। এ বারের নির্বাচনে সেই ৬২ বদলে যায় ২২-এ। ৪৮ আসন পেয়ে ২৭ বছর পর দিল্লিতে প্রত্যাবর্তন হয় বিজেপির। ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি আসনেও জিততে পারেনি কংগ্রেস।