প্রতীকী ছবি।
এ বার কি ফেসবুক-টুইটারেও বাধ্যতামূলক হতে চলেছে আধার কার্ড? ভারতের বিভিন্ন হাইকোর্টে চলা একাধিক মামলার ভিত্তিতে তেমন সম্ভাবনা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। যদিও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি নন। কিন্তু বিভিন্ন হাইকোর্টে আধার বাধ্যতামূলক করার জন্যই সওয়াল করছেন সরকার পক্ষের আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টেও একই বিষয়ে সওয়াল করছে কেন্দ্র। সব হাইকোর্টের মামলাগুলি একত্রিত করে সুপ্রিম কোর্টে এনে শুনানির আর্জি জানিয়েছেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। সেই মামলাও শুনতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট।
তবে সুপ্রিম কোর্টের নজরে শুধুই ফেসবুক নয়। এই মামলাতেই কেন্দ্রের পাশাপাশি গুগল, টুইটার, ইউটিউব এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিস ধরিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সব সংস্থার কর্তৃপক্ষকে তাঁদের বক্তব্য জানাতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। তার পর মামলার শুনানি হবে।
কেন ফেসবুক-টুইয়ারে আধার বাধ্যতামূলক করতে চায় কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি? গোড়ায় পৌঁছতে হলে একটু পিছিয়ে এ বছরের এপ্রিলে ফিরে যেতে হবে। ওই সময় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার প্রতিনিধি এবং নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বাহিনীর শীর্ষ পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক করে তামিলনাড়ু সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইবার ক্রাইম, গুজব, ফেক নিউজ, পর্নোগ্রাফির মতো কনটেন্ট ছড়ানো কী ভাবে আটকানো যায়, সেটাই ছিল বৈঠকের উপজীব্য। ২০ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় বৈঠকে মতামত উঠে আসে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। সেই বল গড়ানো শুরু।
আরও পডু়ন: কাশ্মীর নিয়ে এ বার আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে যাচ্ছে পাকিস্তান
ওই মাসেই সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন দিল্লির আইনজীবী বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়। তাঁরও দাবি ছিল, দেশবিরোধী কার্যকলাপ, ফেক নিউজ, গুজব ছড়ানো আটকাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আধার বাধ্যতামূলক করা উচিত। তাছাড়া এই সব সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুল সংখ্যায় ভুয়ো প্রোফাইল বা অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখান থেকেও ছড়াতে পারে জাতি হিংসা, জঙ্গি কার্যকলাপের মতো বিষয়। এর বাইরেও মাদ্রাজ, বম্বে এবং মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে প্রায় একই দাবিতে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এই সব মামলাকেই একত্রিত করে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দু’পক্ষের প্রাথমিক শুনানির পর ফেসবুকের মামলা শুনতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে আধার বাধ্যতামূলক করতে রাজি নয় মার্ক জাকারবার্গের সংস্থা। সংস্থার যুক্তি, আধার বাধ্যতামূলক করা হলে ইউজারদের তথ্যের গোপনীয়তা সংক্রান্ত চুক্তি ভঙ্গ হবে। আবার জাকারবার্গেরই অন্য সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রে রয়েছে অন্য সমস্যা। এই মেসেজিং অ্যাপে রয়েছে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন। অর্থাৎ মেসেজ প্রেরক ও গ্রহীতা ছাড়া কোনও তৃতীয় পক্ষ কোনও ভাবেই তা দেখতে পারে না। এমনকি, হোয়াটস অ্যাপ কর্তৃপক্ষও অ্যাকসেস করতে পারে না। ফলে আধার বাধ্যতামূলক করা হলে, কী ভাবে সেটা প্রয়োগ করা সম্ভব, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ফেসবুকের আইনজীবীরা।
আরও পডু়ন: সিবিআই বেরিয়ে যেতেই চিদম্বরমের বাড়িতে এ বার ইডি, গ্রেফতারি নিয়ে জল্পনা জারি
কিন্তু কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেন, ‘‘ফেক নিউজ, অবমাননাকর মন্তব্য, পর্নোগ্রাফি, দেশবিরোধী কোনও পোস্ট হলে সেগুলি যাচাই করার জন্যই ইউজারদের প্রোফাইলের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত করা প্রয়োজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy