মণিপুরের প্রতিবাদ সভা। —ফাইল চিত্র।
মণিপুরে কুকি মহিলাদের অনেকেই ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভাইরাল হয়েছে দুই কুকি মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিয়োও। তা নিয়ে দেশ জুড়ে নিন্দা ও ধিক্কারের আবহেই দিন কয়েক আগে প্রথম বার এক মেইতেই মহিলা তাঁর সঙ্গে হওয়া যৌন নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরে জ়িরো এফআইআর দায়ের করেছিলেন। দাবি করেছিলেন, ৩ মে তাঁর বাড়িতে আগুন লাগায় কুকিরা। সপরিবার পালানোর সময় তিনি পড়ে গিয়ে চোট পেলে তাঁকে আটকে রেখে অত্যাচার চালায় কুকিরা। লজ্জায় তিনি কাউকে কিছু জানাননি। শেষ পর্যন্ত ৯ অগস্ট এফআইআর করেন। এ বারে সেই অভিযোগ মিথ্যা বলে একগুচ্ছ পাল্টা দাবি পেশ করলেন সেই গ্রামের কর্তৃপক্ষ।
যে গ্রামে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন ওই মহিলা, চূড়াচাঁদপুরের সেই গ্রামের কর্তৃপক্ষ এ বার বিবৃতি ও তথ্য তুলে ধরে দাবি করলেন, মহিলার অভিযোগ সত্য নয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই মহিলা আগে গ্রামের হিসাবরক্ষকের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পরে তাঁরা মিজোরাম প্রেসবেটেরিয়ান সিনোডের চত্বরে থাকতে শুরু করেন কারণ তাঁর দাদা খ্রিস্টান ও সিনোডের এভাঞ্জেলিস্ট। বিয়ের পরে ওই মহিলা বিষ্ণুপুরে মেইতেই গ্রামে স্বামীর সঙ্গে থাকতে যান। পরে ফের দাদার কাছে সিনোডের ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন। কিন্তু গ্রামের অনেকের কাছে প্রচুর ধার হওয়ার পরে তাঁরা ৫ বছর আগে সেখানকার পাততাড়ি গুটিয়ে বিষ্ণুপুরের ওয়াংগু গ্রামে চলে যান। তাই ৩ মে তাঁদের চূড়াচাঁদপুরের খুমুজাম্বায় থাকার প্রশ্নই ওঠে না বলে দাবি গ্রাম কর্তৃপক্ষের। তারা আসাম রাইফেলসকে সাক্ষী মেনে বলে, ওই দিন সংঘর্ষ ছড়ানোর পরে এক বৃদ্ধা ও দুই প্রতিবন্ধী যুবক বাদে গ্রামের সকলকে অক্ষত অবস্থায় আসাম রাইফেলসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সকলেই নিরাপদে ছিলেন। কোনও মেইতেইয়ের উপরে অত্যাচার হয়নি।
বিষয়টি অন্য দিকে মোড় নেওয়ায় পুলিশ জানায়, সব দিক তদন্ত করা হচ্ছে। মণিপুরে আরও ৯টি ঘটনার তদন্তভার হাতে নিচ্ছে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy