প্রতীকী ছবি।
বাড়ির সামনের রাস্তাতে পড়েছিল স্বামীর দেহ। তাঁর ফোন থেকে স্ত্রীকে বার বার ফোন করে না পেয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকে পুলিশ। দেখা যায়, ঘরের মেঝেতে নিথর অবস্থায় পড়ে মহিলার দেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুম্বইয়ে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রথমে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন, তার পর বাড়ির বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই ব্যক্তি।
ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের গোরেগাঁও এলাকায়। সেখানকার জহর নগর এলাকার এক আবাসনে সস্ত্রীক থাকতেন কিশোর পেডনকর। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোরে ওই আবাসনের সামনে কিশোরকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে কিশোরের স্ত্রীকে খবর দেওয়ার জন্য বার বার ফোন করে। কিন্তু ফোন না ধরায় সন্দেহ হয়। তারা কিশোরের ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ।
পুলিশ কিশোরের দেহ পরীক্ষা করে দেখার সময় নজর পড়ে তাঁর গলার দিকে। কিশোরের গলায় একটি চেনের মধ্যে দু’টি চাবি ঝুলছিল। সেই চাবি দিয়েই ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ভেতরে ঢোকে স্থানীয় থানার পুলিশ। ফ্ল্যাটের মধ্যে দেখতে পায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে মহিলার দেহ। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে ওই মহিলার নাম রাজশ্রী পেডনকর। তিনি কিশোরের স্ত্রী। দু’জনের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কী ঘটেছিল, তা জানতে তদন্তে নামে পুলিশ। স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে খবর, কিশোর জিমের সরঞ্জাম বিক্রি করতেন। দিন কয়েক ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। শুক্রবার প্রথমে শ্বাসরোধ করে রাজশ্রীকে খুন করেন কিশোর। তার পর নিজে ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে ঝাঁপ মারেন। তবে এই জোড়া মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁদের এক মাত্র ছেলে কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। তাঁকে খবর দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy