কানাগরাজ এবং জয়াপ্রিয়া। টুইটার থেকে নেওয়া ছবি।
তথাকথিত এক দলিত যুবক অন্য গোষ্ঠীর এক দলিত যুবতীকে বিয়ের করার জন্য আড়াই লাখ টাকা জরিমানা এবং মন্দিরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লেন। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে তাঁরা মিটিয়ে নিতে চাইলেও খাপ পঞ্চায়েতের প্রধানরা নাকি রাজি হননি। পরে থানায় অভিযোগ জানাতেই প্রকাশ্যে আসে ঘটনা। এর পরই জরিমানা বা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অস্বীকার করেন পঞ্চায়েত প্রধানরা।
তামিলনাড়ুর থিরুপাথুরে পুল্লার গ্রামের বাসিন্দা কানাগরাজ এবং জয়াপ্রিয়া ২ জনেই তথাকথিত দলিত হলেও তাঁরা ভিন্ন ২ গোষ্ঠীর। এই এলাকার এমন ভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিয়েও মেনে নেয় না সমাজের অনেকে। তেমনটাই হয়েছে এঁদের ক্ষেত্রেও।
কানাগরাজ এবং জয়াপ্রিয়া ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাড়ির অমতেই বিয়ে করে নেন। কিন্তু জয়াপ্রিয়ার পরিবার বিয়ে কোনও ভাবেই মেনে নিতে রাজি ছিল না। ফলে নব দম্পতি পুল্লার গ্রাম ছেড়ে চেন্নাইয়ে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু লকডাউনে কানাগরাজের কাজ চলে যায়। তাঁরা গ্রামে ফিরে আসেন। কিন্তু সেখানে তাঁদের খাপ পঞ্চায়েতের কোপে পড়তে হয়।
অভিযোগ ভিন্ন গোষ্ঠীতে বিয়ে করার জন্য খাপ পঞ্চায়েত নাকি তাঁদের কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবি করে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা দিতে রাজি হননি কানাগরাজরা। তাই সম্প্রতি গ্রামে উত্সবের সময় তাঁদের মন্দিরে প্রবেশেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
কানাগরাজ জানিয়েছেন, এই সব এলাকায় ভিন গোষ্ঠীতে বিয়ে করলে জরিমানা দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা হয়। কিন্তু আড়াই লাখ টাকা দেওয়া তাঁর পক্ষে কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। তিনি ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি ছিলেন। ২ বার খাপ পঞ্চায়েতের বৈঠকও হয়। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধানরা ওই টাকাতে রাজি হননি।
এর পরই বিষয়টি যায় থানায়। থিমামপেট্টাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন কানাগরাজ। কিন্তু অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হতেই জরিমানার কথা অস্বীকার করেন ওই পঞ্চায়েতের ২ প্রধান এল্লাপ্পান এবং নাগেশ। তবে কানাগার জানিয়েছেন, তিনি এখনও বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে চান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy