Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National News

দাঁড়িয়ে থেকে সৎ মেয়েকে গণধর্ষণ করাল মা, উপড়ানো হল চোখ

পুলিশের দাবি, মহিলার নির্দেশ মতো কিশোরীর সৎ ভাই ও তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। তার পর ওই মহিলাই মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে। কুড়ুল দিয়ে গোটা মুখে কুপিয়ে বিকৃত করে দেয় কিশোরীর সৎ ভাই। কায়সার তার দু’টি চোখই খুবলে তুলে নেয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:০৭
Share: Save:

ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে সৎ মেয়েকে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গেল মা। ডাকা হল ছেলের বন্ধুদের। তার পর সেই সৎ মা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে চোদ্দো বছরের ছেলে এবং তার বন্ধুদের দিয়ে গণধর্ষণ করাল বছর নয়েকের কিশোরী মেয়েকে। ধর্ষণের পর সেই সৎ মা-ই গলা টিপে হত্যা করল মেয়েকে। কুড়ুল দিয়ে কোপাল সৎ ভাই। এক জন তুলে নিল চোখ। অন্য জন ঢেলে দিল অ্যাসিড।

এমনই হাড় হিম করা এক ঘটনা রবিবার সামনে আসার পর তোলপাড় জম্মু কাশ্মীরের বারামুলা। পুলিশের দাবি, পারিবারিক শত্রুতার জেরেই এমন নৃশংস ও ভয়াবহ কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই মহিলা। অভিযুক্ত সৎ মা, সৎ ভাই-সহ পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় ধৃতেরা গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

গত সপ্তাহে বারামুলার বনিয়ার এলাকার এক ব্যক্তি মেয়ে নিখোঁজের বিষয়ে একটি ‘মিসিং ডায়েরি’ করেন। রবিবার ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে জঙ্গলে এক কিশোরীর বিকৃত দেহ উদ্ধার হয়। পরনের জামাকাপড় দেখে তাকে শনাক্ত করেন তার বাবা। পুলিশ তদন্তে নেমে ওই কিশোরীর সৎ মা, সৎ ভাই এবং আরও তিন জনকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে নারকীয় এই ঘটনার কথা।

আরও পডু়ন: ইলাহাবাদের রাস্তাতেই খুন প্রাক্তন পুলিশকর্মী, ধরা পড়ল সিসিটিভির ফুটেজে

ধৃতদের জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, ছেলের সাহায্য নিয়ে সৎ মা কিশোরী মেয়েকে বাড়ির পাশের জঙ্গলে তুলে নিয়ে যায়। ছেলের বন্ধুদেরও ডাকা হয়। দুষ্কর্মে যোগ দেয় নাসির আহমেদ খান ওরফে গুড্ডু (২৮), কায়সার আহমেদ (১৯) এবং ছেলের বছর চোদ্দোর এক বন্ধু। এর পর সবাই মিলে মেয়েকে গণধর্ষণের নির্দেশ দেয় ওই মহিলা।

পুলিশের দাবি, মহিলার নির্দেশ মতো কিশোরীর সৎ ভাই ও তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। তার পর ওই মহিলাই মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে। কুড়ুল দিয়ে গোটা মুখে কুপিয়ে বিকৃত করে দেয় কিশোরীর সৎ ভাই। কায়সার তার দু’টি চোখই খুবলে তুলে নেয়। গুড্ডু বাড়িতে গিয়ে নিয়ে আসে অ্যাসিডের বোতল। অ্যাসিড দিয়ে মুখ-সহ প্রায় সারা শরীর বিকৃত করে দেওয়া হয়। জঙ্গলে কিশোরীর দেহ পুঁতে উপরে গাছের ডালপালা চাপা দিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে সবাই।

আরও পডু়ন: মোদী সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ত’ বলায় গ্রেফতার মহিলা গবেষক

বীভৎস ও ভয়ানক এই ধর্ষণ-খুনের বর্ণনা শুনে শিউরে উঠেছেন পুলিশ কর্মীরাও। উরির মহকুমা পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট) গঠন করা হয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সিট। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে কুড়ুল, চোখ তুলে নেওয়ার অস্ত্র এবং একটি অ্যাসিডের বোতল।

তদন্তে উঠে এসেছে, কিশোরীর বাবার দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী এলাকারই বাসিন্দা। অন্য জন ঝাড়খণ্ডের। তবে দু’জন একই বাড়িতে থাকতেন। ঝাড়খণ্ডের মহিলাকে বিয়ের পর থেকেই প্রথম স্ত্রীর দিকে তেমন নজর ছিল না। দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে হওয়া এবং তার বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কার্যত প্রথম স্ত্রীকে উপেক্ষা করা শুরু করেন স্বামী। পুলিশের দাবি, বহু বছর ধরে জমে থাকা ক্ষোভের জেরেই সৎ মেয়েকে এমন নৃশংস খুন ও ধর্ষণ করিয়েছেন প্রথম স্ত্রী।

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE