গুজরাতে ‘বিপর্যয়ের’ আবহে সদ্যোজাতকে নিয়ে হাসপাতালে মা। ছবি: রয়টার্স।
আরব সাগরের উপর ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ গুজরাতের উপকূলে আছড়ে পড়েছে বৃহস্পতিবার রাতে। তার আগে থেকেই উপকূল এলাকায় শুরু হয়েছিল ভারী বৃষ্টি। সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়ার দাপট চলছিল সমানতালে। কচ্ছ, দ্বারকা, জখাউ, পোরবন্দরের মতো এলাকা থেকে এক লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই ‘বিপর্যয়’ বিধ্বস্ত গুজরাতে ঝড়ের মধ্যেই জন্ম নিয়েছে ৭০৯টি শিশু।
গুজরাত সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, ‘বিপর্যয়ের’ আবহে গুজরাতের উপকূল এলাকায় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন মোট ১১৭১ জন মহিলা। তাঁদের মধ্যে সরকারি উদ্যোগে ১১৫২ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পর ঝড়ের তাণ্ডবের মাঝেই ৭০৯ শিশুর প্রসব হয়েছে সফল ভাবে।
প্রসূতিদের উদ্ধারের জন্য ‘বিপর্যয়ের’ সময়ে বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করেছিল গুজরাত সরকার। সেই ‘১০৮’ অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে দু’জন মহিলা প্রসব করেছেন। পরে তাঁদের নিরাপদ স্থানে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সকলেই সুস্থ আছেন।
‘বিপর্যয়ের’ ভ্রুকুটির মাঝে গুজরাত সরকারের লক্ষ্য ছিল ‘শূন্য প্রাণাহানি’। অর্থাৎ, এই ঘূর্ণিঝড়ে কারও যাতে মৃত্যু না হয়, সে দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিয়েছিল সরকার। তা নিশ্চিত করতে আগেভাগে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। গুজরাতে সক্রিয় ছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৭টি দল এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল।
সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ঝড়ের মাঝে সফল ভাবে উদ্ধার করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ৫৫২ জন কচ্ছের, ১৭৬ জন রাজকোটের, ১৩৫ জন দ্বারকার, ৯৪ জন গির সোমনাথের, ৬২ জন জামনগরের, ৫৮ জন জুনাগড়ের, ৩৩ জন পোরবন্দরের এবং ২৬ জন রাজকোট পুরসভা এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া, জুনাগড় পুরসভা এলাকা থেকে ৮ জন, মোরবি থেকে ৪ জন এবং জামনগর পুরসভা এলাকা থেকে আরও ৪ জন ছিলেন এই তালিকায়। এঁদের মধ্যে ৭০৯ জন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy