ক্রমশ ডুবছে জোশীমঠ। হিমালয়ের কোলে সাজানো এই শহরে সোমবার নতুন করে আরও ৬৮টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে চিহ্নিত করে দ্রুত সেখান থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ জারি রেখেছে প্রশাসন।
জোশীমঠের পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য মঙ্গলবারই সেখানে যাচ্ছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই দল পাঠানো হচ্ছে। এর আগে গত ৫ এবং ৬ জানুয়ারি জোশীমঠের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিশেষজ্ঞদের একটি দল পরামর্শ দিয়েছিল, অবিলম্বে জোশীমঠে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি ভেঙে ফেলতে হবে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সেই কাজ শুরু হবে মঙ্গলবার।
জোশীমঠে এই মুহূর্তে প্রশাসনের ৯টি দল কাজ করছে। ৩ থেকে ৪ সদস্য বিশিষ্ট এই দলগুলি বাড়ি বাড়ি ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। চিহ্নিত করছে বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে। সোমবার সেই দলের সদস্যরা ৯ জোশীমঠের ৪টি পুরসভা এলাকায় নতুন করে ১০০টির বেশি বিপজ্জনক বাড়ি চিহ্নিত করেছেন। অবিলম্বে সেখান থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
এখনও পর্যন্ত জোশীমঠে ভূমি অবনমনের কবলে পড়েছে মোট ৬৭৮টি বাড়ি। বহু পরিবারকে ভিটেমাটি ছেড়ে প্রাণের দায়ে উঠে যেতে হয়েছে। আচমকা ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি। জোশীমঠের মাঠ, ক্ষেত, রাস্তাতেও চওড়া হয়েছে ফাটল।
গাড়োয়াল হিমালয়ের জোশীমঠ উত্তরাখণ্ডের পর্যটকদের অন্যতম সেরা আকর্ষণ। জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে এই শহরের একাধিক বাড়িতে হঠাৎ ফাটল দেখা দেয়। ক্রমশ চওড়া হয় সেই ফাটল। কোনও কোনও বাড়ি চোখের সামনে ভেঙে পড়ে হুড়মুড়িয়ে। দ্রুত বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে প্রশাসন। জোশীমঠ শহরটি মূলত ভূমিধসপ্রবণ এলাকার উপরেই তৈরি। তাই সেখানকার মাটি আলগা। তার উপর অবাধে পাহাড় কেটে নগরের সম্প্রসারণ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, জাতীয় সড়ক প্রশস্তকরণের মতো কাজে শহরের ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যে কারণে ধীরে ধীরে বসে যেতে শুরু করেছে গোটা শহর।