গুজব শুনেই জন পাঁচেকের একটি দল রবিবার ছাদের মধ্যে ঘিরে ধরেন দিবাকরকে। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
করোনাভাইরাস লকডাউনে ভাটা পড়েছে ব্যবসায়। সে জন্য মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছিলেন না বাবা। তাকে রেখে এসেছিলেন নয়ডায় আত্মীয়ের বাড়িতে। কিন্তু এলাকায় রটে যায় মেয়েকে ‘বিক্রি’ করে দিয়েছেন বাবা। অভিযোগ, এই গুজবের ভিত্তিতেই ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তিকে রবিবার বিকালে এলোপাথাড়ি মারধর করে পাঁচ ব্যক্তি। সেই আঘাতের জেরেই সোমবার সকালে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরীতে। সেই ঘটনার ভিডিয়ো শেয়ার করে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনকে বিঁধেছেন সেখানকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা।
এই ঘটনার কথা স্বীকার করে সেখানকার পুলিশ সুপার অজয় কুমার বলেছেন, ‘‘এই মৃত্যুর ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা ও এসসি/এসটি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিডিয়ো দেখে পাঁচ জনকে আমরা চিহ্নিতও করেছি। তার মধ্যে চার জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।’’
বছর ৪৫-এর ওই ব্যক্তির নাম সর্বেশ দিবাকর। ফিরোজাবাদের সিরসাগঞ্জের ওই ব্যক্তি ১৬ বছরের মেয়ের সঙ্গে মৈনপুরীতে ভাড়া থাকতেন। সেখানে কেক পেস্ট্রি বিক্রি করতেন। তাঁর মেয়ে গৃহস্থলীর কাজে সাহায্যের পাশাপাশি সেখানকার একটি স্কুলে পড়ত। কিন্তু সম্প্রতি লকডাউনের কারণে দিবাকরের বিক্রি তলানিতে ঠেকেছিল। অভাবের কারণেই নিজের মেয়েকে তিনি নয়ডায় একটি আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে এসেছিলেন।
কিন্তু সম্প্রতি ওই এলাকায় গুজব ছড়ায়, দিবাকর মেয়েকে ‘বিক্রি’ করে দিয়েছেন। সেই গুজব শুনেই জন পাঁচেকের একটি দল রবিবার ছাদের মধ্যে ঘিরে ধরেন দিবাকরকে। সেখানেই লাঠি, রড দিয়ে মারধর করা হয়। দূর থেকে এই ঘটনার ভিডিয়ো করেছিলেন ওই এলাকার এক বাসিন্দা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মার খেতে খেতে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন দিবাকর। তবুও মারের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। ছাদ থেকে মাটিতে পড়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে যান তিনি। তার পরও মারা হয়েছে তাঁকে। সেই অবস্থাতেও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি কেউ। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপির আইটি সেল দুর্বৃত্তে ভরা’, তোপ সুব্রহ্মণ্যন স্বামীর
পুলিশ সুপার বলেছেন, ‘‘রবিবার সন্ধ্যায় আমরা গণপিটুনির খবর পেয়েছি। তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে এনে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’’ পড়াশোনা যাতে বন্ধ না হয়, সে জন্যই আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে দিবাকরের মেয়ে। যদিও মেয়ে বিক্রির গুজব থেকেই যে গণপিটুনি সে কথা নিশ্চিত করা হয়নি পুলিশ প্রশাসনের তরফে।
मैनपुरी का यह वीडियो सामने आया है जहां बजरंग दल के कार्यकर्ताओं द्वारा कचौड़ी का ठेला लगाने वाले दलित युवक सर्वेश दिवाकर की लिंचिंग कर हत्या कर दी गई।
— Samajwadi Party (@samajwadiparty) September 7, 2020
दोषी बजरंग दल के कार्यकर्ताओं पर कड़ी कार्रवाई करे सरकार। @dgpup pic.twitter.com/H4xdLzNgWT
দিবাকরকে পিটিয়ে মারার ভিডিয়ো নিজেদের টুইটার হ্যান্ডল থেকে সোমবার শেয়ার করেছে সমাজবাদী পার্টি। সেই টুইটে তারা দাবি করেছে, দিবাকরকে পিটিয়ে মারায় অভিযুক্তরা একটি উগ্র দক্ষিণপন্থী দলের সদস্য। যদিও সেই দাবি খারিজ করেছে পুলিশ। সঙ্গে গুজব না ছড়ানোর জন্য জনসাধারণকে আবেদন জানানো হয়েছে। বহুজন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতীও ঘটনা নিয়ে টুইট করেছেন। সে রাজ্যে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনায় নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। দিবাকরের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন মায়াবতী। দিবাকরের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সমাজবাদী পার্টি। উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি করেছে তারা।
1.यूपी में कल मैनपुरी में दलित सर्वेश कुमार की दबंगों द्वारा पीट-पीट कर की गई हत्या व इसी प्रकार महाराजगंज में गोबिन्द चैहान, शाहजहाँपुर में राजवीर मौर्य, बरेली में वासिद, कुशीनगर में सुधीर सिंह तथा बांदा में विनोद गर्ग (ब्राह्मण) की गोली मार की गई हत्या आदि की घटनायें अति-दुःखद।
— Mayawati (@Mayawati) September 8, 2020
রবিবারই উত্তরপ্রদেশের লখীমপুর খেরী এলাকায় জমি বিবাদের জেরে পিটিয়ে খুন করা হয় প্রাক্তন বিধায়ককে। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কুশিনগরে এক যুবককের মৃত্যু হয় গণপিটুনিতে। পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে ওই যুবককে পিটিয়ে মারে উন্মত্ত জনতা। তার পরই এই ঘটনা সামনে এল। গত দু’সপ্তাহ জুড়েই এনকাউন্টার, গণপিটুনি, নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় বার বার সামনে আসছে উত্তরপ্রদেশের নাম।
আরও পড়ুন: ফের প্ররোচনা, প্যাংগং-এ গুলি চালিয়ে ভারতকেই দূষল বেজিং
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy